প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বিস্ফোরণের আগে গ্যাসের তীব্র গন্ধ ছিল। স্থানীয় ডেপুটি মেয়র এডোয়ার্ড সিভেল সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছেন যে বিস্ফোরণের কারণ হল "গ্যাসের তীব্রতা"।
সেন্ট্রাল প্যারিসে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণটি শহরের পঞ্চম অ্যারোন্ডিসমেন্টে, রুয়ে সেন্ট-জ্যাকসের একটি ডিজাইন স্কুল এবং ক্যাথলিক শিক্ষা ব্যবস্থার সদর দপ্তরে অবস্থিত একটি বিল্ডিংয়ে হয়। জরুরী কর্মীরা ভবনটির ধ্বংসাবশেষের মধ্যে দিয়ে তল্লাশি করছেন, একজন ব্যক্তি এখনও নিখোঁজ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বিস্ফোরণের আগে গ্যাসের তীব্র গন্ধ ছিল। স্থানীয় ডেপুটি মেয়র এডোয়ার্ড সিভেল সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছেন যে বিস্ফোরণের কারণ হল "গ্যাসের তীব্রতা"। তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের কারণ এখনও নির্ণয় করা যায়নি।
প্যারিসের প্রসিকিউটর লর বেকুউ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর বলেছেন যে ক্যামেরার ফুটেজের প্রাথমিক পরীক্ষায় দেখা গেছে যে বিস্ফোরণটি ভবনের মধ্যে ঘটেছে, যা ভ্যাল ডি গ্রেস গির্জার পাশে ছিল। প্যারিসের পুলিশ প্রধান লরেন্ট নুনেজ জানিয়েছেন, ভবনটি প্রথমে আগুনে পুড়ে গেলেও পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এলাকাটি ঘিরে রাখা হয়েছে এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন ঘটনাস্থলে গেছেন।
প্যারিসের প্রথম ডেপুটি মেয়র ইমানুয়েল গ্রেগোয়ার বৃহস্পতিবার বলেছেন, নিখোঁজ দুজনের মধ্যে একজনকে একটি হাসপাতালে পাওয়া গেছে। উদ্ধারকারীরা এখনও একজনকে খুঁজছেন। যে এলাকায় বিস্ফোরণটি ঘটেছে সেটি প্যারিসের লেফট ব্যাঙ্ক এলাকার ল্যাটিন কোয়ার্টার থেকে দক্ষিণে অবস্থিত, যা পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় এবং ছাত্রদের থাকার জায়গা হিসেবে বেশ পরিচিত।
বুলেভার্ড সেন্ট-মিচেলের ইকোলে ডেস মাইনসের একজন ছাত্র লে প্যারিসিয়েনকে বলেছেন "আমি ভ্যাল ডি গ্রেসের সামনে ছিলাম, আমি একটি বড় বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাই। ২০ বা ৩০ মিটার উচ্চতার অগ্নিশিখা দেখেছি" । প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দে ভবনটি ধসে পড়ে। তিনি এর সঙ্গে গ্যাসের গন্ধও পেয়েছেন। কিন্তু চেতনা ফিরে পেতে কয়েক মিনিট সময় লেগেছে। তারপরেই এলাকা ছেড়ে পালাতে শুরু করেন তিনি।
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী আন্তোইন ব্রোচট বিবিসিকে বলেন, তিনি যখন একটি প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান তখন তিনি বাড়িতে ছিলেন। তিনি বলেন আমি জানালার বাইরে মাথা গলিয়ে গোটা ঘটনা বোঝার চেষ্টা করছিলাম। সামনেই ধোঁয়ার একটি বিশাল মেঘ দেখেছিলাম এবং আমি কাছে যেতেই, সেখানে একটি বিল্ডিং ছিল, সেটি হুড়মুড়িয়ে ধসে পড়েছিল এবং আগুনে জ্বলছিল গোটা ভবন। সবাই এলাকা ছেড়ে পালাচ্ছিল। সঙ্গে সঙ্গে ওই বিস্ফোরণস্থল ঘিরে ফেলে পুলিশ। কাউকেই সেখানে যেতে দেওয়া হচ্ছিল না। উদ্ধারকারীরা নিজেদের কাজ শুরু করে দেন। কতজন সেখানে আটকে তা এখনও জানা যায়নি।