পুতিন মাটিতে শুয়ে ছিলেন। প্রবল অস্বস্তি ধরা পড়েছিল তাঁর চোখে। দুই চোখ ঘোরাচ্ছিলেন।
দোর্দণ্ডপ্রতাপ রুশ প্রেসিডেন্ট কিনা মাটিতে গড়াগড়ি খেলেন! তেমনই বলছেন ক্রেমিলিনের এক প্রথম সারির কর্তা। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সম্প্রতি কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছিল। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিলে। সেই সময় তিনি তাঁর শয়নকক্ষে ছিলেন। সেখানেই আচমকা মাটিতে পড়ে যায়। বেশকিছুক্ষণ থাকার পর সেই তাঁকে রক্ষীরাই সেখান থেকে উদ্ধার করেন।
একটি রিপোর্ট এক রক্ষার বয়ান তুলে ধরে দাবি করেছে, পুতিন মাটিতে শুয়ে ছিলেন। প্রবল অস্বস্তি ধরা পড়েছিল তাঁর চোখে। দুই চোখ ঘোরাচ্ছিলেন। অতীতেও একটি মিডিয়া রিপোর্টে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের স্বাস্থ্যের অবণতির কথা বলা হয়েছিল। যদিও সেই সময় বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন ভুল তথ্য প্রকাশ করেছিল।
রিপোর্ট অনুযায়ী এবার দাবি করা হয়েছে ৭১ বছর বয়সী পুতিন বিশেষ চিকিৎসা পরিষেবার মধ্যে রয়েছেন। যেদিন তিনি অসুস্থু হয়ে যান সেই দিনই তাঁর অ্যাপার্টমেন্টে দ্রুত একদল চিকিৎসককে ডেকে পাঠান হয়েছিল। যদিও ক্রেমলিন এখনও পর্যন্ত পুতিনের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে কোনও তথ্য দেয়নি। সরকারিভাবে তাঁর অসুস্থতা সম্পর্কেও কিছুই ঘোষণা করা হয়নি। তবে এর রুশ কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেছেন, রক্ষীরা প্রথমে পুতিনের ঘর থেকে পড়ে যাওয়ার আওয়াজ শুনতে পান। তারপরই তাঁর ঘরে গিয়ে দেখেন তিনি অসুস্থ অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছেন। দুই নিরাপত্তা রক্ষী পুতিনের ঘরে গিয়ে দেখেন খাবারের প্লেট জলেরর গ্লাস সমেত উল্টে পড়ে রয়েছেন পুতিন।
তবে ইউক্রেনের ওপর হামলার করার পর থেকেই পুতিনের স্বাস্থ্য নিয়ে ইউরোপের একাধিক মিডিয়া একাধিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। যা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি জারি করেনি ক্রেমলিন। তাই মিডিয়া রিপোর্টগুলির সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। হার্টের সমস্যার কারণে পুতিনের পড়ে যাওয়ার পর থেকে তাঁকে নিয়ে কোনও রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি। অন্যদিকে ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকেই প্রায় লোকচক্ষুর অন্তরাতে রয়েছেন পুতিন। একাধিক বিদেশ সফরও তিনি বাতিল করেছেন।