রাশিয়ার সেনা কর্মকর্তাদের মতে, ক্রিসমাসের সময়ও হামলা বন্ধ হবে না। একইসঙ্গে, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এই সপ্তাহান্তে আমেরিকা ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট মিসাইল সিস্টেম দেবে।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধের দশ মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও পুতিনের সেনাবাহিনী তাদের হামলা কমাচ্ছে না। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, রাশিয়ার সেনাবাহিনী আবারও ইউক্রেনের তিনটি বড় শহরে দ্রুত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। রাজধানী কিয়েভের মেয়র শহরের মধ্যবর্তী জেলাগুলোতে বিস্ফোরণের কথা জানিয়েছেন। কিইভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো বলেছেন, ডেসনিয়ান জেলায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং বাসিন্দাদের আশ্রয় নিতে সতর্ক করা হয়েছে। এদিকে, পূর্ব খারকিভ অঞ্চলের গভর্নর বলেছেন, রুশ হামলার পর মূল শহরে বিদ্যুৎ নেই।
বড়দিনেও হামলা থামবে না: রাশিয়া
রাশিয়া বুধবার জানিয়েছে যে তারা ইউক্রেনের সরকারী প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করার চেষ্টা করবে। রাশিয়ার সেনা কর্মকর্তাদের মতে, ক্রিসমাসের সময়ও হামলা বন্ধ হবে না। একইসঙ্গে, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এই সপ্তাহান্তে আমেরিকা ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট মিসাইল সিস্টেম দেবে। পাঠানোর পরিকল্পনা চূড়ান্ত করছেন তিনি।
বেলারুশ সফরে যাবেন রুশ প্রেসিডেন্ট
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সোমবার বেলারুশে যাবেন তার প্রতিপক্ষ ও মিত্র আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে আলোচনার জন্য। শুক্রবার বেলারুশ প্রেসিডেন্সি জানিয়েছে যে লুকাশেঙ্কোর অফিস মিনস্কের স্বাধীনতা প্রাসাদে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। বেলারুশিয়ান ভূখণ্ড সহ একাধিক দিক থেকে শুরু হওয়া ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের ১০ মাস পরে এই সফর করছেন পুতিন।
এদিকে, রাজধানী কিভের দিকে নিশানা করে ওড়ানো রাশিয়ার ১৩টি ড্রোনকে গুলি করে সদর্পে নিচে নামিয়ে দিল ইউক্রেন সেনা। ১৪ ডিসেম্বর, বুধবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো বিবৃতি দিয়ে জানান, ইরানের তৈরি ১৩টি কামিকাজে ড্রোনকে গুলি করে নামিয়ে এনেছে ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী। তিনি অভিযোগ করেন, ওই ‘আত্মঘাতী’ ড্রোনগুলি রাজধানী কিভকে লক্ষ্য করে পাঠিয়েছিল রাশিয়া।
দেশের রাজধানী কিভের মেয়র ভিতালি ক্লিটস্কো-ও একটি টেলিগ্রামে দাবি করেন যে, বুধবার সকালে রাজধানী শহরের শেভচেঙ্কিভস্কি এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটেছে। যদিও তাঁর বিবৃতিতে ড্রোনের সংখ্যাটা ছিল ১০। তিনি বলেছিলেন, ১০টি শাহেদ ড্রোনকে নামানো হয়েছে। ইউক্রেনের পার্লামেন্ট সদস্য ওলেক্সি গনচারেঙ্কোও টুইটে লিখেছিলেন, ‘‘প্রতিবেশী রাশিয়ার সৌজন্যে অ্যালার্ম ঘড়ির বদলে বিস্ফোরণের শব্দে ঘুম ভাঙল ইউক্রেনীয়দের!’’