কয়েক কোটি বছর পর পৃথিবীর তাপমাত্রা ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যাবে এবং জীবন ধ্বংস হয়ে যাবে। মহাদেশগুলি আবার একত্রিত হয়ে 'প্যানজিয়া আল্টিমা' তৈরি করবে এবং আগ্নেয়গিরিগুলি অগ্ন্যুৎপাত শুরু করবে।
পৃথিবীর ধ্বংসের ভবিষ্যদ্বাণী: ইংল্যান্ডের ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি নতুন গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন, যাতে বেশ কিছু চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে। এই প্রতিবেদন অনুসারে, পৃথিবী ধীরে ধীরে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। একসময় এমন একটা সময় আসবে যখন পৃথিবীতে জীবন সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যাবে।
এত বছর পর ধ্বংস হবে পৃথিবী
বিজ্ঞানীদের মনে করেন, প্রায় ২৫ কোটি বছর পর পৃথিবী ধ্বংস হতে পারে। সেই সময় পৃথিবীর জলবায়ু এবং পরিবেশগত অবস্থা এতটাই চরম হবে যে, এখানে জীবনের অস্তিত্ব অসম্ভব হয়ে পড়বে। এই প্রতিবেদনে পৃথিবীর পরিবর্তনশীল পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তনকে প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যা ভবিষ্যতে এই ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। ২৫ কোটি বছর পর পৃথিবীর তাপমাত্রা ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যাবে। সেই সময় এখানকার পরিবেশ এতটাই গরম হয়ে যাবে যে, এখানে কোনও জীবই বেঁচে থাকতে পারবে না।
মাটির নিচে লুকিয়ে থাকা আগ্নেয়গিরিগুলি সক্রিয় হয়ে উঠবে
এই গবেষণা অনুসারে, প্রায় ৩৩ কোটি থেকে ১৭ কোটি বছর আগে, পৃথিবীতে "প্যানজিয়া" নামে একটি বিশাল মহাদেশ ছিল। সময়ের সাথে সাথে এই মহাদেশ ভেঙে আলাদা আলাদা অংশে বিভক্ত হয়ে যায় এবং আজকের মহাদেশীয় গঠন তৈরি হয়। বিজ্ঞানীদের ধারণা, প্রায় ২৫ কোটি বছর পর সমস্ত মহাদেশ আবার একত্রিত হয়ে "প্যানজিয়া আল্টিমা" নামক একটি সুপারকন্টিনেন্ট তৈরি করবে। এছাড়াও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, জল ধীরে ধীরে শুকিয়ে যাবে, যার ফলে পৃথিবীতে বসবাস করা খুবই কঠিন হয়ে পড়বে। এই প্রক্রিয়ায় পৃথিবীর পৃষ্ঠ আরও গরম হবে এবং শুষ্কতা বৃদ্ধি পাবে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে মাটির নিচে লুকিয়ে থাকা আগ্নেয়গিরিগুলি সক্রিয় হয়ে উঠবে এবং অগ্ন্যুৎপাত শুরু করবে, যার ফলে পরিবেশ আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে।