এই দেশে তৈরি করা হল কনের দরের তালিকা! কুমারী মেয়েকে ৪ লক্ষ-বিধবাকে বিয়ে করলে দিতে হবে ২ লক্ষ টাকা

কুমারী মেয়েকে বিয়ে করার জন্য চার লক্ষ আফগানি রুপি, বিধবাকে বিয়ে করার জন্য ২ লাখ, দ্বিতীয় স্ত্রীর জন্য অর্থাৎ বহুবিবাহের অধীনে বিয়ে করার জন্য ৬ লাখ আফগানি রুপি দিতে হবে।

Web Desk - ANB | Published : May 23, 2023 5:57 PM IST

আফগানিস্তানে তালেবান শাসন শুরু হওয়ার পর থেকে নতুন নতুন ফরমান সারা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। আজকাল একটি নতুন ডিক্রি অনেক আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে এবং তা হল কনের দর!

আফগানিস্তানে তালেবানের ফতোয়া- নতুন কনের দাম নির্ধারণের জন্য একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সূত্রের খবর কনের রেট লিস্টে কুমারী মেয়েকে বিয়ে করার বিনিময়ে দিতে হবে ৪ লক্ষ আফগানি নোট। একই সঙ্গে একজন বিধবাকে বিয়ে করলে তাকে ২ লক্ষ আফগানি নোট দিতে হবে। এর আগে, তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা বলেছিলেন যে জোরজবরদস্তি বিয়ে নিষিদ্ধ করা উচিত এবং মহিলাদের সম্পত্তি হিসাবে বিবেচনা করা উচিত নয়।

আফগানিস্তানের পাকতিয়া প্রদেশের তালেবানের তথ্য ও সংস্কৃতি পরিচালক খালিকার আহমদজাই প্রদেশে নতুন কনের দাম নিয়ে একটি টুইট করেছেন। এটিকে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি নতুন পাত্রীর দামের বিস্তারিতও ঘোষণা করেছেন। এই ঘোষণা অনুযায়ী, কুমারী মেয়েকে বিয়ে করার জন্য চার লক্ষ আফগানি রুপি, বিধবাকে বিয়ে করার জন্য ২ লাখ, দ্বিতীয় স্ত্রীর জন্য অর্থাৎ বহুবিবাহের অধীনে বিয়ে করার জন্য ৬ লাখ আফগানি রুপি দিতে হবে। যদি কোনো পুরুষের প্রথম স্ত্রী মারা যায় এবং সে কোনো কুমারী মেয়েকে বিয়ে করতে চায়, তাহলে তাকে পাঁচ লাখ আফগানি রুপি দিতে হবে।

পাকতিয়া প্রদেশের তথ্য ও সংস্কৃতি পরিচালকের দেওয়া এই টুইটের পর পুরো আফগানিস্তানে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বলা হয়েছিল, পুরনো তালেবান কমান্ডাররা তাদের বয়সের নিচে বিয়ে করার জন্য এই ফরমান জারি করেছেন। এই ফরমানের অধীনে মেয়েটির পরিবারকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দেওয়ার পর যে ব্যক্তি এই টাকা দেবে তাকে বিয়ে করতে হবে।

এর আগেও আফগানিস্তানে তালেবান কমান্ডাররা তাদের অর্ধেক বয়সী মেয়েদের বিয়ে করেছিল। এতে তালেবান গভর্নর হাজি ওয়াফা তার বয়সের থেকে ২০ বছর ছোট একটি মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন। তিনি তার নতুন শ্বশুরকে তার মেয়েকে বিয়ে করার বিনিময়ে প্রায় ১৪ লাখ টাকা দিয়েছিলেন।

আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর দ্বিতীয় তালেবান অফিসার হিসেবে হাফিজ রশিদকে বিয়ে করা হয়েছে। রশিদের বয়স ৫০ বছর এবং তিনি ২০ বছরের একটি মেয়েকে বিয়ে করেন। হাফিজ রশিদ নতুন স্ত্রীর পরিবারকে প্রায় ১১ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন।

আশ্চর্যের বিষয় হল, তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা আবদুল্লাহ আখুন্দজাদা সরকারি কর্মকর্তাদের দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ বিয়ে করতে নিষেধ করে একটি আদেশ জারি করেছিলেন। আফগানিস্তানে জোরপূর্বক বিয়ে হবে না এবং নারীদের সম্পত্তি হিসেবে গণ্য করা উচিত নয় বলেও জানান।

আফগানিস্তান সরকারের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার জারি করা নতুন কনের দাম নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। হট্টগোলের পর এই টুইটটি আপাতত ডিলিট করে দিয়েছেন সিনিয়র অফিসার। তবে মনে করা হচ্ছে আগামী দিনে আবার এই নতুন নিয়ম কার্যকর হতে পারে।

Share this article
click me!