যৌবন ধরে রাখতে মরিয়া, ১৭ বছরের ছেলের দেহ থেকে রক্ত নিচ্ছেন মার্কিন ধনকুবের

সত্যজিৎ রায়ের ছবি 'গুপী বাঘা ফিরে এল'-এর গল্প নয়, বাস্তবে যৌবন ধরে রাখার লক্ষ্যে মরিয়া হয়ে নানা কাণ্ড করছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক ধনকুবের।

Web Desk - ANB | Published : May 23, 2023 7:08 AM IST / Updated: May 23 2023, 01:40 PM IST

ব্যবসা থেকে হাতে হঠাৎ প্রচুর অর্থ এসে গিয়েছে। কীভাবে সেই অর্থ খরচ করবেন, তার জন্য নানা উপায় খুঁজতে গিয়ে মনে হয়েছে যৌবন ধরে রাখতে হবে। কিছুতেই বুড়ো হলে চলবে না। এই ভাবনা থেকেই যৌবন ধরে রাখার লক্ষ্যে প্রতি বছর ২০ লক্ষ মার্কিন ডলার করে খরচ করছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক ধনকুবের। যৌবন ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে ৭০ বছরের বাবা ও ১৭ বছরের ছেলেকে ব্যবহার করছেন ব্রায়ান জনসন নামে এই ব্যক্তি। ছেলের শরীর থেকে এক লিটার রক্ত নিয়েছেন ব্রায়ান। নিজের শরীর থেকে সম পরিমাণ রক্ত বের করে দিয়ে ছেলের রক্ত শিরা ও ধমনীতে প্রবেশ করিয়েছেন এই ব্যক্তি। ব্রায়ানের বাবা রিচার্ডেরও শরীর থেকেও একইভাবে রক্ত বের করে দিয়ে তাজা রক্ত প্রবেশ করানো হচ্ছে। ৩০ জন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞকে নিয়ে একটি দল গঠন করা হয়েছে। তাঁরাই রক্ত আদান-প্রদানের বিষয়টি দেখছেন। এতে ব্রায়ানের ছেলে ট্যালম্যাজের শরীরে কী প্রভাব পড়ছে, সে বিষয়ে অবশ্য কিছু জানা যায়নি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্রায়ানের বয়স ৪৫ বছর। তিনি সফটঅ্যয়ার ডেভেলপার। তিনি যতদিন বাঁচবেন ততদিনই শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যুবকদের মতোই সক্রিয় ও সচল করে রাখতে চান। সেই কারণে বিশেষ চিকিৎসা শুরু করেছেন। কয়েকদিন আগে ডালাসের কাছে একটি ক্লিনিকে গিয়েছিলেন তাঁরা। সেখানে একসঙ্গে ৩ প্রজন্মের শরীর থেকে রক্ত আদান-প্রদান হয়। এর আগে অজ্ঞাতপরিচয় তরুণের শরীর থেকে রক্ত নিলেও, এবার ছেলের শরীর থেকেই রক্ত নিলেন ব্রায়ান। প্লাজমা, প্লেটলেট, লোহিত কণিকা, শ্বেত কণিকা আলাদা করে ব্রায়ানের শরীরে প্রবেশ করানো হয়েছে। অত্যন্ত জটিল এই চিকিৎসা। এর জন্য বিপুল খরচও হয়। কিন্তু যৌবন ধরে রাখতে খরচের জন্য ভাবছেন না ব্রায়ানা।

চিকিৎসকরা অবশ্য এই পদ্ধতির সঙ্গে একমত নন। লস অ্যাঞ্জেলেসের সিটি অফ হোপ ন্যাশনাল মেডিক্যাল সেন্টারের বায়োকেমিস্ট চার্লস ব্রেনার জানিয়েছেন, 'যৌবন ধরে রাখার জন্য এই চিকিৎসা যথাযথ কি না, আমরা সে ব্যাপারে এখনও যথেষ্ট জ্ঞান অর্জন করতে পারিনি। আমার মতে, এই ধরনের চিকিৎসা অবৈজ্ঞানিক এবং অত্যন্ত বিপজ্জনক।'

রেডক্রসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘যে সমস্ত ব্যক্তিরা দুর্ঘটনা বা অন্য কোনও কারণে ট্রমায় আছেন, শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন, লিভারের সমস্যায় ভুগছেন, রক্ত জমে যাচ্ছে, শুধু তাঁদেরই প্লাজমা দেওয়া হয়। অন্য কোনও কারণে প্লাজমা দেওয়ার রীতি নেই।’

আরও পড়ুন-

পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের হার্ট অ্যাটাকের পরে মৃত্যুর আশঙ্কা বেশি, জানাচ্ছে গবেষণা

Healthy Steps: প্রত্যেকবার খাবার পরে মাত্র ১০০ পা হাঁটলেই কেল্লাফতে, একসঙ্গে এই উপকারগুলি পাবেন চোখের পলকে

জি-৭ বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী, দেখুন প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরের অদেখা মুহূর্ত

Share this article
click me!