সময়ের অঙ্ক অনুযায়ী সাবমেরিন সম্পূর্ণ অক্সিজন শূন্য হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। অক্সিজন সম্পূর্ণ ফুরিয়ে গেলে যে সমস্ত পরিশ্রম বিফলে যাবে তা স্বীকার করেছে কোস্ট গার্ডের অফিসাররাও।
নিখোঁজ হওয়ার পর কেটে গিয়েছে চারদিন কেটে গেলেও হদিশ মেলেনি ডুবোজাহাজ 'টাইটান'-এর। এদিকে সময়ের হিসেব বলছে সাবমেরিনে অক্সিজেন আর একটুও অবশিষ্ট নেই। তবে কি RMS টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষেই সলিল সমাধি পাঁচ অভিযাত্রী-সহ সাবমেরিনের? এই আশঙ্কাতেই দিন গুনছে উদ্ধারকারী দল। চারদিন কেটে গেলেও এখনও খোঁজ মেলেনি ডুবোজাহাজের। তবুও হাল ছাড়তে নারাজ মার্কিন উপকূলরক্ষী বাহিনী। আটলান্টিকের এক বিশাল এলাকা জুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে উদ্ধারকারীরা। অন্যদিকে প্রত্যেক মিনিটে কমছে যাত্রীদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা। সময়ের অঙ্ক অনুযায়ী সাবমেরিন সম্পূর্ণ অক্সিজন শূন্য হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। অক্সিজন সম্পূর্ণ ফুরিয়ে গেলে যে সমস্ত পরিশ্রম বিফলে যাবে তা স্বীকার করেছে কোস্ট গার্ডের অফিসাররাও।
বৃহস্পতিবার ক্যাপ্টেন জেমি ফ্রেডরিক জানিয়েছেন,'প্রতি আধঘন্টা অন্তর আমরা সমুদ্রের গভীরে থেকে সংকেত শব্দ পাচ্ছিলাম। আমরা নিশ্চিত ওই শব্দ নিখোঁজ সাবমেরিন 'টাইটান'-এর থেকেই পাঠানো হচ্ছিল। কিন্তু হিসেব অনুযায়ী ডুবোজাহাজে আর এক ফোঁটা অক্সিজেনও অবশিষ্ট নেই। আগামী আধ ঘন্টায় ফের সংকেত না পেলে সব আশা শেষ বলেই ধরে নিতে হবে।'
টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে পর্যটকদের নিয়ে যাওয়া একটি ছোট সাবমেরিন নিখোঁজ হয়েছে, যা নিয়ে মধ্য আটলান্টিক মহাসাগরে অনুসন্ধান অভিযান চলছে, তবে এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ সাবমেরিন সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। সাগরের ভেতরে নিখোঁজ সাবমেরিনটিতে মোট পাঁচজন আরোহী রয়েছেন। সংকটের বিষয় হলো সাবমেরিনের ভেতরে কয়েক ঘণ্টার জন্য অক্সিজেন অবশিষ্ট থাকে। প্রসঙ্গত, বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের ধনকুবের ব্যবসায়ী প্রিন্স দাউদ ও তার ছেলে সুলেমানও এই সাবমেরিনে রয়েছেন। তার পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে যে তাঁরা ওই সাবমেরিনেই ছিলেন। ওই ঘটনার পর থেকে তাঁদের কোনও খোঁজ মেলেনি। প্রিন্স দাউদ পাকিস্তানের সবচেয়ে ধনী পরিবারের একজন। তিনি SETI ইনস্টিটিউটের একজন ট্রাস্টি। এটি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় অলাভজনক বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে একটি।