১৮০০ কেজি স্যাটেলাইটের 'আগুনের বল' নামছে পৃথিবীতে! শেষের সেদিনের শুরু? বেশ ভয় পাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা

বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা সত্যি প্রমাণিত হতে পারে। আছড়ে পড়ার আশঙ্কা বেশি কারণ এটি তার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে এবং যেকোনো জায়গায় পড়ে যেতে পারে।

মহাবিশ্ব থেকে পৃথিবীতে আরেকটি বিপর্যয় ধেয়ে আসছে। আগামী কয়েক ঘন্টার মধ্যে, মহাকাশ থেকে একটি দৈত্যাকার উপগ্রহ আগুনের বলয়ে পরিণত হচ্ছে এবং দ্রুত পৃথিবীর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এর ধ্বংসাবশেষ যে কোনো সময় যে কোনো দেশের শহরের ওপর পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা। এই স্যাটেলাইটটি যখন উৎক্ষেপণ করা হয়, তখন এর আধুনিক প্রযুক্তির কারণে এটিকে 'স্যাটেলাইটের জনক' বলা হয়। ২০১১ সাল থেকে এটি কার্য়ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা সত্যি প্রমাণিত হতে পারে। আছড়ে পড়ার আশঙ্কা বেশি কারণ এটি তার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে এবং যেকোনো জায়গায় পড়ে যেতে পারে।

এই স্যাটেলাইটটি পৃথিবীতে সংঘটিত কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণের জন্য উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। যাইহোক, এর পরে এই স্যাটেলাইট খুব সাধারণ মানের হয়ে ওঠে। তবে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি বলছে, দুই টন ওজনের স্যাটেলাইটের বেশির ভাগই পৃথিবীতে যাওয়ার পথে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে, তবে এর কিছু অংশ পৃথিবীতে আসার পথে টিকে থাকতে পারে এবং শহরগুলোর ওপর পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। .

Latest Videos

ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীর যে কোনো জায়গায় পড়তে পারে

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর অধিকাংশ ধ্বংসাবশেষ সমুদ্রে গিয়ে পড়ে থাকতে পারে। এটা স্বস্তির বিষয় যে এই ধ্বংসাবশেষ থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। ১৯৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে, ইউরোপীয় সংস্থা দুটি অভিন্ন আর্থ রিমোট সেন্সিং (ERS) স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছিল। সে সময় এই স্যাটেলাইটটি খুবই উপযোগী ছিল, এতে এমন যন্ত্রপাতি ছিল যা পৃথিবী, সমুদ্র ও বায়ুর পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করতে পারে। এই স্যাটেলাইটগুলি বন্যা, ক্রমবর্ধমান সমুদ্রের তাপমাত্রা, ভূমিকম্পের সম্ভাবনা এবং পৃথিবীর বরফ পর্যবেক্ষণ করেছিল। প্রাথমিকভাবে এটিকে পৃথিবী থেকে ৭৮০ কিলোমিটার উপরে স্থাপন করা হয়েছিল, তবে পরে এটিতে থাকা জ্বালানির কারণে এর উচ্চতা হ্রাস করা হয়েছিল। এটি গত ১৫ বছর ধরে ক্রমাগত পৃথিবীর দিকে অগ্রসর হচ্ছিল।

এই স্যাটেলাইটের ধ্বংসাবশেষ কখন এবং কোথায় পড়বে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। এটি মূলত পরিবেশ এবং সৌর কার্যকলাপের উপর নির্ভর করবে। তবে ধারণা করা হচ্ছে এই স্যাটেলাইটটি উত্তর ও দক্ষিণের ৮২ ডিগ্রির মধ্যে পড়বে। মহাকাশ সংস্থা অনুমান করেছে যে ধাতব অংশ এবং চাপ ট্যাঙ্কের মতো অংশ পৃথিবীতে পড়তে পারে। এই স্যাটেলাইটের অ্যান্টেনা যে অংশটি পৃথিবীতে পড়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এটি ব্রিটেনে তৈরি করা হয়েছিল। কার্বন ফাইবার দিয়ে তৈরি এই অ্যান্টেনা উচ্চ তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

Share this article
click me!

Latest Videos

Suvendu Adhikari Live: সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু, কী বার্তা, দেখুন সরাসরি
'তোর বউ তো খুব সুন্দর!' এরপরেই ঘটে গেল হাড়হিম করা ঘটনা! দেখুন | Barasat News Today
ধান কাটা নিয়ে রণক্ষেত্র Basanti! প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ, ছুটে আসল পুলিশ
'আমরা কিন্তু চুপ করে বসে থাকব না Yunus' চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারিতে চরম হুঁশিয়ারি Agnimitra-র
রান্না করতে গিয়েই ঘটলো বিপদ! চোখের পলকে ছাই হয়ে গেলো সব, শোকের ছায়া Budge Budge-এ | South 24 Pargana