সূত্রের খবর, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ থামানোর বার্তা দিয়েছেন ট্রাম্প। এমনকি রুশ প্রেসিডেন্ট যদি না অবিলম্বে যুদ্ধ বিরতির পথে না হাঁটে তাহলে ভবিষ্যতে রাশিয়াকে আর্থিক সমস্যাতেও ভুগতে হবে বলে হুশিঁয়ারি দিয়েছেন তিনি।
নিউ ইয়র্ক: এতদিন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইউক্রেনের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছে আমেরিকাও। বলা ভালো এই যুদ্ধের শুরু থেকেই ইউক্রেনের সহযোদ্ধা ছিল আমেরিকা। কিন্তু,এখন ধীরে ধীরে বদল হচ্ছে সেই সমীকরণ। আমেরিকা ইউক্রেনকে আর খুব বেশি সাহায্য করতে চাইছে না এই যুদ্ধে। এমনকি যুদ্ধ বন্ধের জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে চাপ বাড়ানো হচ্ছে রাশিয়ার উপর। সম্প্রতি হোয়াইট হাউসে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukrine Clash) নিয়ে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির (Zelensky) সঙ্গে তীব্র বচসায় জড়িয়ে পড়েন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। বিশ্বজুড়ে সেই চর্চার রেশ কাটতে না কাটতে এবার আরও বড় ইঙ্গিত মিলল ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের তরফে।
সূত্রের খবর, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ থামানোর বার্তা দিয়েছেন ট্রাম্প। এমনকি রুশ প্রেসিডেন্ট যদি না অবিলম্বে যুদ্ধ বিরতির পথে না হাঁটে তাহলে ভবিষ্যতে রাশিয়াকে আর্থিক সমস্যাতেও ভুগতে হবে বলে হুশিঁয়ারি দিয়েছেন তিনি। যদিও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বোঝাপড়া বেশ ভালো বলেই মনে করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। তাই ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগেই অনেকে বলেছিলেন ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে রাশিয়া ইউক্রেন সংঘর্ষে ভাঁটা পড়তে পারে। এবার সেটাই বাস্তবে ঘটতে চলেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জ়েলেনস্কির উপরে চাপ সৃষ্টি করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কখনও মস্কোর সঙ্গে সমঝোতা করতে বলছেন, কখনও জ়েলেনস্কিকে ‘অনির্বাচিত একনায়ক’ বলে আক্রমণ করছেন (Ukraine)। এবার সরাসরি যুদ্ধ বন্ধের জন্য রুশ প্রেসিডেন্টকে হুশিঁয়ারি দিয়ে বসলেন ট্রাম্প।
জানা গিয়েছে, ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি রাশিয়ার সঙ্গে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে আসতে রাজি হয়েছে। পুতিনকে বোঝাতে এবার তড়িঘড়ি মস্কোতে মার্কিন দূত পাঠালেন ট্রাম্প। যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য মার্কিন প্রতিনিধিরা ইউক্রেন যাচ্ছে বলে খবর (Russia Ukraine News)।
অন্যদিকে, যুযুধান দুই পক্ষের যুদ্ধবিরতি নিয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন ও আমেরিকার (America) ভূমিকার দিকে তাকিয়ে রয়েছে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহল। যুদ্ধরত দুই দেশের মুখপাত্রের তরফে একে অপরকে পাল্টা দোষারোপ করা শুরু হয়েছে। যদিও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে রাশিয়াকে তারা মোটেও বিশ্বাস করেন না। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এই বিষয় নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে নারাজ।