চক্ষু পরীক্ষা করার পরেই রিপোর্ট দেখে অবাক হয়ে গেলেন চিকিৎসকরা। চোখের মণির পাশের কিলবিল করছে জীবন্ত কৃমির ঝাঁক!
নিজের সন্তানের একটি চোখের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকদের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক মহিলা। মাত্র ৫ মাস বয়সি ওই শিশুর নাম 'ডং ডং'। তার চক্ষু পরীক্ষা করার পরেই রিপোর্ট দেখে অবাক হয়ে গেলেন চিকিৎসকরা। চোখের মণির পাশের কিলবিল করছে জীবন্ত কৃমির ঝাঁক! ঘটনাটি ঘটেছে চিন দেশের ইউনানের কুনমিং শহরে।
-
হঠাৎ করেই নিজের ৫ মাস বয়সি সন্তানের একটি চোখে চুলকানি এবং লাল হয়ে যাওয়া রোগ দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন শিশুর মা। চিকিৎসকদের কাছে দেখাতে এলেই ধরা পড়ে যে, ওই সদ্যোজাতের চোখের ভেতরে নড়েচড়ে বেরাচ্ছে অনেকগুলি কৃমি, সংখ্যাটা প্রায় দশের কাছাকাছি। চোখের দিকে তাকিয়েই সেগুলি দেখতে পেয়েছিলেন চিকিৎসকরা। এই ধরনের কৃমি সাধারণত মাছির কামড়ের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। শিশুর চোখে তাহলে সেগুলি কীভাবে এল?
-
আক্রান্ত শিশুর মায়ের সঙ্গে কথা বলার পর চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন যে, কৃমিওয়ালা বিশেষ মাছির কামড় খাওয়া কোনও এক কুকুর বা বিড়ালকে নিয়ে আদর করেছিলেন তিনি। সেই প্রাণীর দেহ থেকেই কৃমিগুলি তাঁর চোখে বাসা বেঁধেছে। মহিলা ডাক্তারদের জানিয়েছিলেন যে, শিশুটি তার বাড়ির পাশে থাকা প্রাণীদের সঙ্গে খেলা করার সময় নিজের চোখে হাত দিয়ে থাকতে পারে। সেই থেকেই হয়তো এই বিপদ ঘটেছে।
-
শিশুর চোখের ভেতরকার ছবি চিকিৎসকদের তরফে পোস্ট করা হয়েছে ডিজিটাল মাধ্যমে। চিকিৎসকদের তরফে জানানো হয়েছে, কম করেও প্রায় ১১টি কৃমি তার চোখ থেকে বের করা হয়েছে। এগুলি আসলে এক ধরনের পরজীবী কীট, যা মানুষের শরীরে বাস করে পুষ্টি সংগ্রহ করে, এগুলির নাম থেলাজিয়া ক্যালিপেডা।