World's First Penis Transplant: পুরুষাঙ্গ নয়, নতুন জীবন - যুগান্তকারী অপারেশনের ৭ বছর


২০১৪ সালের ১১ ডিসেম্বরই ঘটেছিল বিশ্বের প্রথম পুরুষাঙ্গ প্রতিস্থাপনের (World's First Penis Transplant) অপারেশন। দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) সেই অপারেশন এখন আশার আলো দেখাচ্ছে আরও অনেক পুরুষকে। 

অপারেশনের পর ৭ বছর কেটে গিয়েছে। আবার নতুন জীবন ফিরে পেয়েছেন সেদিনের ২১ বছরের তরুণটি। এখন আবার তার আগের মতো লিঙ্গোত্থান ঘটে, এমনকী বীর্যপাতও হয়। অথচ, ৭ বছর আগে, একটি সারকামসিশন (Circumcision) অপারেশন করতে গিয়ে পুরুষাঙ্গই খোয়াতে বসেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) সেই তরুণ। তবে, তাঁকে নতুন জীবন দিয়েছিলেন বিশ্বখ্যাত ইউরোলজিস্ট, ডাক্তার আন্দ্রে ভ্যান ডার মারউই (Andre van der Merwe) ওরফে 'ডক্টর ডিক'। ২০১৪ সালের ১১ ডিসেম্বরই ঘটেছিল বিশ্বের প্রথম পুরুষাঙ্গ প্রতিস্থাপনের (World's First Penis Transplant) অপারেশন। 

সেই যুগান্তকারী অপারেশনের ৭ বছর পর, দক্ষিণ আফ্রিকার স্থানীয় এক পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাতকারে ডাক্তার মারউই বলেছেন, সেই তরুণ এখন পুরোপুরি সুস্থ। তিনি এখন তাঁর পুরুষাঙ্গের প্রায় সমস্ত স্বাভাবিক কার্যকারিতা ফিরে পেয়েছেন। সেই রোগী এখন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মূত্রত্যাগ করতে পারে, লিঙ্গের উত্থান ঘটে, এমনকী সঙ্গমেও কোনও অসুবিধা হয় না ওই তরুণের। আর তাঁর সেই অপারেশন, এখন গোটা বিশ্বেই কোনও কারণে পুরুষাঙ্গ হারাতে বসা পুরুষদের নতুন জীবনের আশার আলো দেখাচ্ছে। 

Latest Videos

আরও পড়ুন - 'এক ইঞ্চিই গড়ে দেয় পার্থক্য' - যৌনতায় কতটা গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্গের দৈর্ঘ্য, কী বলছে গবেষণা

আরও পড়ুন - যৌনসুখ পেতে পুরুষাঙ্গে ঢোকালেন রাজমার দানা - বের হল না বীর্যপাতে, কী হল তারপর

আরও পড়ুন - SHOCKING - পুরুষাঙ্গের উত্থান ধরে রাখতে এমন কাজ করলেন, হাসপাতালে ডাকতে হল দমকল

ওই যুগান্তকারী অপারেশনের পরই গোটা বিশ্বে 'ডক্টর ডিক' (Dr Dick) নামে খ্যাতি পেয়েছিলেন ডাক্তার আন্দ্রে ভ্যান ডার মারউই। গোটা বিশ্ব থেকেই ইউরোলজিস্টরা এখন তাঁর পরামর্শ নেন লিঙ্গ প্রতিস্থাপনের অপারেশন করার জন্য। ডাক্তার মারউই জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের অপারেশনটি করার আগে, ওই তরুণ নিয়মিত সঙ্গমে লিপ্ত ছিল। কিন্তু, সারকামসিশন অপারেশনের পর তাঁর পুরুষাঙ্গে গ্যাংগ্রিন হয়ে গিয়েছিল। যার ফলে মাত্র ১ ইঞ্চি ছাড়া পুরুষাঙ্গের বাকি অংশ হারিয়েছিলেন তিনি। 

ডাক্তার মারউই এক মৃত ব্যক্তির পুরুষাঙ্গ নিয়ে, ওই তরুণের দেহে প্রতিস্থাপন করেছিলেন। রোগীর পায়ের ভিতর থেকে নেওয়া একটি স্কিন গ্রাফ্ট এবং কিছু ট্যাটুর ব্যবহার করা হয়েছিল, নতুন লিঙ্গটিকে রোগীর ত্বকের রঙের সঙ্গে মানানসই করে তোলার জন্য। সেই রোগী এখন খুবই খুশি এবং একেবারে স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন। 

ডাক্তার মারউই ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা বিবিসিকে বলেছেন, পুরুষাঙ্গ প্রতিস্থাপন হয়তো আক্ষরিক অর্থে জীবনদায়ী নয়, কিন্তু, এটা একজনের জীবন বাঁচানোর থেকে কম কিছুও নয়। কোনও কারণে পুরুষাঙ্গ হারালে বহু পুরুষের পক্ষেই তা মানসিকভাবে মেনে নিতে পারেন না। এমনকী, সামাজিক কলঙ্কের ভয়ে অনেকেই আত্মহত্যাও করে বসেন। কারণ, পুরুষাঙ্গ না থাকা মানে কোনও পুরুষ তাঁর যৌনজীবনে মৃত। লিঙ্গ ফিরে পাওয়া তাদের কাছে দ্বিতীয় জীবন পাওয়ার মতোই। 

Share this article
click me!

Latest Videos

Bangladesh-এ হিন্দুনেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার, মুক্তির দাবিতে Md Yunus-কে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
Live | India vs Australia : পারথে সাড়ে তিন দিনে টেস্ট জয়, বিদেশের মাটিতে ভারতের সেরা সাফল্য?
ওয়াকফ বিলের (Waqf Bill) আঁচ বাংলার বিধানসভায়, দেখুন কী বললেন Suvendu Adhikari
'ভোট ব্যাঙ্কের জন্য Mamata রোহিঙ্গাদের হিন্দুদের জমি দিচ্ছে' বিস্ফোরক অভিযোগ Agnimitra-র
হাড়োয়ায় তৃণমূল জিততেই বিজেপি প্রার্থীর জমি তচনচ, ক্ষোভ উগরে যা বললেন Samik Bhattacharya