দেশজুড়ে চলা করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাঝে রমরমিয়ে চলছে আইপিএল। জৈব সুরক্ষা বলয়ের মাঝে আইপিএল চললেও টুর্নামেন্টকে ঘিরে প্রশ্ন শুরু থেকেই ছিল। গত কয়েক দিনে দেশের করোনা পরিস্থিতি যে খারাপ থেকে আরও খারাপ পর্যায়ে গিয়েছে তাতে আইপিএল আয়োজন নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। কেন রিচার্ডসন, অ্যান্ড্র টাই, অ্যাডাম জাম্পা-র মত ক্রিকেটাররা আইপিএল থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। রবীচন্দ্রন অশ্বিনের মত দেশের তারকা ক্রিকেটারও বিরতি নিয়েছেন আইপিএল থেকে। দেশের এই ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির মাঝে আইপিএল চালিয়ে যাওয়া কতটা যুক্তিযোগ্য তা নিয়ে একটা মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও বিসিসিআই কোনও মতেই আইপিএল বন্ধ করার পক্ষে নয়। আইপিএল মাঝপথে বন্ধ হলে বড় ক্ষতির প্রশ্ন থাকছে।
আরও পড়ুন: করোনা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির জেরে কি বন্ধ হয়ে যাবে আইপিএল, কী জানাল বিসিসিআই
আইপিএলের আয়োজকদের কাছে এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা হল টুর্নামেন্ট থেকে বিদেশীদের চলে যাওয়া। আজ অস্ট্রেলিয়া সিদ্ধান্ত নেয় ভারতে যাত্রাবাহী বিমান পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার। দেশের সরকারে এই সিদ্ধান্তে অজি ক্রিকেটারদের মধ্যে উদ্বেগ আরও বেড়েছে। মুম্বই ইন্ডিয়ন্সের এই তারকা ক্রিকেটার তো দেশের বোর্ডের কাছে আবেদন করেছেন, আইপিএল শেষে তাদের যেন চার্টাড বিমানের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। সবদিক থেকেই উদ্বেগ পরিষ্কার। যেভাবে বিদেশী ক্রিকেটাররা দেশে ফিরে যাচ্ছেন, সেইভাবে আরও ক্রিকেটার টুর্নামেন্ট ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো বড় বিপদে পড়বে। কিছুটা অংশে টুর্নামেন্টও গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে।
আরও পড়ুন: করোনা ভয়াবহ পরিস্থিতি, গিলক্রিস্টের পর আইপিএল বন্ধের দাবি শোয়েব আখতারের
যেহেতু আইপিএলে ক্রিকেটার-ধারাভাষ্যকারদের বড় আর্থিক চুক্তি রয়েছে, তাই অনেকে কষ্ট করে ভারতে পড়ে আছেন বলেও দাবি করা হয়েছে। তবে আইপিএল আয়োজনে মরিয়া বোর্ড কর্তারা বিদেশী ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলে উদ্বেগ মেটানোর চেষ্টায় আছে। বিদেশী ক্রিকেটারদের দেশে ফেরার সব ব্যবস্থাই করা হবে বলে বোর্ডের পক্ষ থেকে বিদেশী ক্রিকেটারদের জানানো হয়েছে। শুধু ক্রিকেটার নয়, ম্যাথু হেডেন, ব্রেট লি, মাইকেল স্লেটারের মত অজি ধারাভাষ্যকারও আইপিএলের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন। এরই মাঝে ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা ধারভাষ্যকার মাইকেল ভন কিন্তু আইপিএল চালিয়ে যাওয়ার পক্ষেই রায় দিয়েছেন। তবু মেঘ যেন কাটছে না। আইপিএলে এখনও অর্ধেকও শেষ হয়নি, তার মাঝেই যেভাবে বিদেশী ক্রিকেটাররা ছেড়ে চলে যাচ্ছে তাতে আশঙ্কা থাকছেই।