কেন তাকে আইপিএলের ইতিহাসে সবথেকে বেশি ১৬.২৫ কোটি টাকা দিয়ে দলে নিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস, তা দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে প্রমাণ করলেন ক্রিস মরিস। আর সেটা প্রামণের ভিত মরিসকে গড়ে দিয়ে যান অপর এক প্রোটিয়া তারকা ডেভিড মিলার। আর যেভাবে ছয় মেরে ম্যাচ শেষ করলেন মরিস, তাতে অধিনায়ক সঞ্জুকে বার্তা দিলেন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে পঞ্চম বলে রান নিলে হয়তো ম্য়াচের ফল অন্য হতে পারত। বৃহস্পতিবার লো স্কোরিং ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ১৪৭ রান করে দিল্লি। জবাবে শেষ ওভারের থ্রিলারে জোড়া ছয় মেরে রাজস্থানকে প্রথম জয় এনে দল মরিস।
আরও পড়ুনঃকরোনা আবহে আইপিএলে নতুন নিয়ম, কোভিড পরিবর্ত নিল দিল্লি ক্যাপিটালস
এদিন টসে জিতে বোলিয়ের সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। প্রথম থেকেই দুরন্ত বল করে রাজস্থান। শিখর ধওয়ান, পৃথ্বি শ, অজিঙ্কে রাহানেকে পরপর প্যাভেলিয়নে ফেরত পাঠান জয়দেব উনাদকাট। একমাত্র অধিনাক ঋষভ পন্থ কিছুটা লড়াই দেয় ও অনবদ্য ৫১ রানের একটি ইনিংস খেলেন। তবে দুর্ভাগ্য বশত তাকে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয়। পন্থের ৫১ ছাড়া এই ম্য়াচে অভিষেককারী ললতি যাদব ২০. টম কুরান ২১ ও ক্রিস ওকস ১৫ রান করেন। সব মিলিয়ে ২০ ওভারে ১৪৭ রানে পৌছায় দিল্লির স্কোর। রাজস্থানের হয়ে ৩টি উইেট পান জয়দেব উনাদকাট, ২টি উইকেট পান মুস্তাফিজুর রহমান ওএকটি উইকেট পান ক্রিসস মরিস।
আরও পড়ুনঃএই 'ডিভার' প্রেমেই 'ক্লিন বোল্ড' ঋষভ পন্থ, জানুন কে এই সুপার হট অ্যান্ড সেক্সি সুন্দরী
আরও পড়ুনঃবাবরের কাছে সিংহাসন হারানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জবাব, ফের নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করলেন কোহলি
১৪৮ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৪২ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে বিশাল চাপে পড়ে যায় রাজস্থান রয়্যালস। রাবাডা, ওকস, আবেশ খানদের দাপটে ব্যর্থ হন জস বাটলার, মমন ভোরা, সঞ্জু স্যামসন, শিবম দুবে, রিয়ান পরাগরা। এরপর ইনিংসের রাশ ধরেন ডেভিড মিলার ও রাহুল তেওয়াটিয়া। প্রথমে কিছুটা ধরে খেললেও পরে রানের গতিবেগ বাড়ান ডেভিড মিলার। তেওয়াটিয়া ১৯ রান করে আউট হলেও নিজের ইনিংসস চালিয়ে যান মিলার। অর্ধশতরানও পূরণ করেন তিনি। শেষে ৪৩ বলে ৬২ রান করে আউট হন মিলার। শেষের দিকে একসময় রাজস্থানের জয় অসম্ভব বলে মনে হচ্ছিল তখন বিধ্বংসী রূপ ধারণ করেন ক্রিস মরিস। ৪টি ছয়ের সাহায্যে ১৮ বলে ৩৬ রানের ইনিং খেলে দলকে জয় এনে দেন ক্রিস মরিস। আইপিএলে জয়ে ফিরে খুশি রয়্যালসরা।