আইপিএের প্রথম লেগে একমাত্র আরসিবিকেই হারিয়েছিল কিংস ইলেভেন পঞ্জাব। তারপর টানা হার। দ্বিতীয় লেগে প্রথম পর্বের হারের বদলা নিতে মুখিয়ে ছিল বিরাট কোহলির দল। কিন্তু প্রথম লিগের পুনরাবৃত্তি ঘটাল পঞ্জাব। ফের আরসিবিকে ৮ উইকেটে হারিয়ে আইপিএলে অবশেষে জয়ে ফিরল কেএল রাহুলের দল। এদিন টসে জিতে ব্য়াটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আরসিবি অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ওপেনিং করতে নেমে শুরুটা ভালই করেন দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও দেবদদূত পাড়িকল। কিন্তু পঞ্চম ওভারে দলে ৩৮ রানের মাথায় আর্শদীপ সিংয়ের বলে ১৮ রান করে আউট হন দেবদূত পাড়িকল।এরপর ক্রিজে আসেন বিরাট কোহলি। পাওয়ার প্লের ৬ ওভার শেষে ব্যাঙ্গাোরের স্কোর দাঁড়ায় ৫৭ রানে ১ উইকেট। কিন্তু সপ্তম ওভারে মুরগান অশ্বিনের বলে আউট হন অ্যারন ফিঞ্চ। ২০ রান করেন তিনি। এরপর ব্যাটিম করতে নামেন ওয়াশিংটন সুন্দর। কিন্তু ১১ তম ওভারে মুরগান অশ্বিনের বলে আউট হয়ে যান সুন্দর। ১৩ রান করেন তিনি। এরপর নামে শিবম দুবে। একদিক থেকে নিজের ইনিংস চালিয়ে যান বিরাট কোহলি। ১৫ ওভারে রান রেট বাড়ায় আরসিবি। ওভারে আসে ১৯ রান। ১৫ ওভার শেষে বিরাট কোহলির দলের স্কোর দাঁড়ায় ১২২ রানে ৩ উইকেট।
শেষ ৫ ওভারে রানের গতিবেগ আরও বাড়ানোর চেষ্টা করে আরসিবি। কিন্তু দ্রুত গতিতে রান করতে গিয়ে ১৬ তম ওভারে আউট হন শিবম দুবে। ক্রিস জর্ডানের বলে ২৩ রান করে আউট হন তিনি। এরপর ক্রিজে আসেন এবি ডিভিললিয়ার্স। ১৭ ওভার শেষে আরসিবির স্কোর দাঁড়ায় ১৩৩ রানে ৪ উইকেট। কিন্তু এদিন ব্যাট হাত নিরাশ করেন এবি ডিভিলিয়ার্স। ১৮ তম ওভারে মহম্মদ শামির বলে ২ রান করে আউট হন এবিডি। একই ওভারে আরসিবিকে আরও একটি ঝটকা দেন শামি। ৪৮ রান করে শামির বলে আউট হন বিরাট কোহলি। ১৮ ওভার শেষে আরসিবির স্কোর দাঁড়ায় ১৩৭ রানে ৬ উইকেট। ১৯ তম ওভারে আসে ৯ রান। শেষ ওভারে দুরন্ত ব্যাটিং করেন ক্রিস মরিস। ২৪ রান আসে শেষ ওভারে। ২০ ওভার শেষে আরসিবির স্কোর দাঁড়ায় ১৭১ রানে ৬ উইকেট। ৮ বলে ২৫ রান করে অপরাজিত থাকেন ক্রিস মরিস। কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের টার্গেট ১৭২ রান।
১৭২ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুটা এদিন ভালই করেন কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের দুই ওপেনার কেএল রাহুল ও মায়াঙ্ক আগরওয়াল। শুরু থেকেই ঝোড়ো ইনিংস খেলতে শুরু করেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। কেএল রাহুল একটু ধীর গতিতে ইনিংস শুরু করেন। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই ৫০ রানের পার্টনারশিপ পূরণ করেন পঞ্জাবের দুই ওপেনার। পাওয়ার প্লের ৬ ওভার শেষে পঞ্জাবের স্কোর দাঁড়ায় বিনা উইকেটে ৫৬ রান। পাওয়ার প্লের পর রানের গতিবেগ আরও বাড়ান কিংস ইলেভেন দুই ওপেনার। একাধিক আক্রমণাত্বক শট খেললে কেএল রাহুল ও মায়াঙ্ক আগরওয়াল। ওভার পিছু প্রায় ১০ রান করে রান তুলতে থাকেন। কিন্তু অষ্টম ওভারে গিয়ে ভাঙে পার্টনারশিপ। ৭৮ রানে প্রথম উইকেট পড়ে পঞ্জাবের। যুজবেন্দ্র চাহলের বলে আউট হন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। ২৫ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ৪টি চার ও ৩টি ছয় মারেন তিনি। এরপর ক্রিজে আসেন ক্রিস গেইল। এবারের আইপিএলে প্রথম ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একটু ধীরেই করেন ইউনিভার্সাল বস। অপরদিক থেকে নিজের ইনিংস চালিয়ে যান কেএল রাহুল। ১০ ওভার শেষে কিংস ইললেভেন পঞ্জাবের স্কোর দাঁড়ায় ৮৪ রানে ১ উইকেট।
আরও পড়ুনঃসাগর থেকে যেন উঠে আসছেন বিকিনি পরিহিত জলপরী, সত্যি নেশা ধরাবে প্যাট কামিন্সের বান্ধবী
১০ ওভারের পর কেএল রাহুলের সঙ্গে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান ক্রিস গেইল। রানের গতিবেগও কিছুটা বাড়ান কেএল রাহুল। একটু সেট হয়ে দুটি বিশাল ছক্কা হাঁকান ক্রিস গেইল। ১৪ তম ওভারে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন কেএল রাহুল। ৩৭ বলে ৫০ রান করেন তিনি। ১৫ শেষে কিংস ইলেভেনের স্কোর দাঁড়ায় ১২৭ রানে ১ উইকেট। ১৬ তম ওভারে ওভারে আরও একটি করে ছক্কা হাঁকান ক্রিস গেইল ও কেএল রাহুল। ১৬ তম ওভারে আসে ১৯ রান। একইসঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন ক্রিস গেইল ও কেএল রাহুল জুটি। এরপর কার্যত বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন গেইল। ১৭ ওভার শেষে পঞ্জাবের স্কোর দাঁড়ায় ১৬১ রানে ১ উইকেট। এরই মধ্যে ৩৬ বলে নিজের হাফ সেঞ্চুরিএ পূরণ করেন গেইল। ১৮ ওভার পঞ্জাবের স্কোর দাঁড়ায় ১৬৫ রানে ১ উইকেট। ১৯ তম ওভারে আসে ৫ রান। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ২ রান। কিন্তু দুরন্ত বোলিং করে খেলা শেষ বল পর্যন্ত নিয়ে যান চাহল। ৫৩ রান করে রান আউট হন গেইল। কিন্তু শেষ বলে ৬ মেরে খেলা শেষ করেন নিকোলাস পুরাণ। এই জয়ের ফলে অবশেষে টানা ৫ ম্যাচ হারের পর জয়ে ফিরল পঞ্জাব। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর জয়ে ফিরে স্বস্তিতে কিংস ইলেভেন পঞ্জাব শিবির।