আইপিএলে লিগ টপার হওয়ার লড়াইতে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৫ উইকেটে হারাল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ১৬২ রান করে শ্রেয়স আইয়রের দল। দিল্লির হয়ে সর্বোচ্চ ৬৯ রান করেন শিখর ধওয়ান। রান চেজ করতে নেমে মুম্বইয়ের হাফ সেঞ্চুরি করেন কুইন্টন ডিকক ও সূর্যকুমার যাদব। ২ বল বাকি থাকতেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন শ্রেয়স আইয়র। তবে শুরুটা ভাল হয়নি দিল্লির। প্রথম ওভারেই ট্রেন্ট বোল্টের শিকার হন পৃথ্বী শ। ৪ রান করে আউট হন তিনি। এই ম্যাচে প্রথম সুযোগ পেয়ে রান করতে ব্যর্থ হন অজিঙ্কে রাহানেও। পঞ্চম ওভারে ১৫ রান করে ক্রুণাল পান্ডিয়ার বলে আউট হন তিনি। এপরপ ইনিংসের রাশ ধরেন শ্রেয়স আইয়র ও শিখর ধওয়ান। পাওয়ার প্লে-র পর রান রেট কিছুটা বাড়ান ধওয়ান ও আইয়র জুটি। নিজেদের মধ্যে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন শিখর ধওয়ান ও শ্রেয়স আইয়র জুটি। চতুর্থ উইকেটে ৮৫ রানের পার্টনারশিপ করেন তারা। কিন্তু ১৫ তম ওভারে ৩৩ বলে ৪২ রান করে ক্রুণাল পান্ডিয়ার বলে আউট হন শ্রেয়স আইয়র। ১৫ ওভার শেষে দিল্লি ক্যাপিটালসের স্কোর দাঁড়ায় ১১১ রানে ৩ উইকেট।
১৬ তম ওভারে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন শিখর ধওয়ান। ৩৯ বলে ৪টি চার ও একটি ছয়ের সৌজন্যে অর্ধশতরান পূরণ করেন গব্বর। অপরদিকে এসেই দ্রুত গতিতে রান তোলা শুরু করেন স্টয়নিস। কিন্তু এই ম্য়াচে ভাগ্য তার সাথ দেয়নি। ১৭ তম ওভারে ৮ বলে ১৩ রান করে রান আউট হয়ে যান তিনি। ১৭ ওভার শেষে দিল্লির স্কোর দাঁড়ায় ১৩৫ রানে ৪ উইকেট। এরপর ক্রিজে আসেন অ্যালেক্স ক্যারে। দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন তিনিও। ১৮ ওভারে দিল্লির রান ছিল ১৪২ রানে ৪ উইকেট। ১৯ তম ওভারে আসে ৮ রান। শেষ ওভারে আসে ১২ রান। ২০ ওভার শেষে দিল্লির স্কোর দাঁড়ায় ১৬২ রানে ৪ উইকেট। ৬৯ রান করে অপাজিত থাকেন শিখর ধওয়ান। ১৪ রান করে অপরাজিত থাকেন অ্যালেক্স ক্যারে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের টার্গেট ১৬৩ রান।
রান তাড়া করতে নেমে ধীরে শুরু করেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও কুইন্টন ডিকক। কিন্তু পঞ্চম ওভারে দলের ৩১ রানের মাথায় প্রথম উইকেট পড়ে মুম্বইয়ের। অ্যাক্সর প্যাটেলের বলে ৫ রান করে আউট হন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এরপর ক্রিজে এসে ইনিংসের রাশ ধরেন সূর্যকুমার যাদব ও কুইন্টন ডিকক। বেশ কিছু আক্রমণাত্বক শট খেলেন কুইন্টন ডিকক। পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভার শেষে মুম্বইয়ের স্কোর দাঁড়ায় ১ উইকেটে ৪৪ রান। পাওয়ার প্লে-র পর রানের গতিবেগ কিছুটা বাড়ান মুম্বইয়ের দুই ব্য়াটসম্যান। এর মধ্যে নবম ওভারে নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করে ৎেলে কুইন্টন ডিকক। ৪ টি চার ও ৩টি ছয় মারেন তিনি। কিন্তু দশম ওভারে ভাঙে পার্টনারশিপ। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে আউট হন হন প্রোটিয়া তারকা। ৫৩ রান করেন তিনি। ৪৬ রানের পার্টনারশিপ করেন সূর্যকুমার ও ডিকক। ১০ ওভার শেষে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের স্কোর দাঁড়ায় ৭৮ রানে ২ উইকেট।
এরপর ক্রিজে নামেন ইশান কিষাণ। উইকেট হারিয়ে রানরেট কিছুটা কমে যায় মুম্বইয়ের। ধীরে ধীরে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান সূর্যকুমার যাদব ও ইশান কিষাণ। ১৩ ওভার শেষে মুম্বইয়ের স্কোর দাঁড়ায় ১০২ রানে ২ উইকেট। ১৪ তম ওভার থেকে রানের গতিবেগ কিছুটা বাড়ায় মুম্বই ব্যাটসম্যানরা। অর্ধশতরানও পূরণ করেন সূর্যকুমার যাদব। কিন্তু ১৫ ওভারের শেষ বলে আউট হন সূর্যকুমার যাদব। ৫৩ রানে করে কাগিসো রাবাডার বলে আউট হন তিনি। ১৫ ওভার শেষে মুম্বইয়ের স্কোর দাঁড়ায় ১৩০ রানে ৩ উইকেট। ১৬ তম ওভারে আরও একটি উইকেট পড়ে। স্টয়নিসের বলে খাতা না খুলেই আউট হয়ে যান হার্দিক পান্ডিয়া। এরপর ক্রিজে আসেন কায়রন পোলার্ড। ১৭ ওভার শেষে মুম্বইয়ের স্কোর দাঁড়ায় ১৪৫ রানে ৪ উইকেট। ১৮ তম ওভারে রাবাডার বললে আউট হন ইশান কিষাণ। ২৮ রান করেন ইশান কিষাণ। ১৯ ওভার শেষে মুম্বইয়ের স্কোর দাঁড়ায় ১৫৬ রানে ৫ উইকেট। শেষ ওভারে জয়ের জন্য মুম্বইয়ের দরকার ছিল ৭ রান। বল বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্য়ে পৌছে যায় মুম্বই। এই জয়ের ফলে দিল্লিকে সরিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে পৌছে গেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।