আইপিএলে টানা তৃতীয় হার সিএসকের, ৭ রানে ম্য়াচ জিতল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ

  • চেন্নাই সুপার কিংসকে ৭ রানে হারাল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ
  • প্রথমে ব্যাট করে ১৬৪ রান করে ডেভিড ওয়ার্নারের দল
  • অনবদ্য অর্ধশতরান করেন তরুণ ক্রিকেটার প্রিয়ম গর্গ
  • জবাবে চেন্নাই সুপার কিংসের ইনিংস শেষ হয় ১৫৭ রানে
     

Sudip Paul | Published : Oct 2, 2020 6:08 PM IST / Updated: Oct 02 2020, 11:43 PM IST

পরপর তিন ম্যাচে হার এমএস ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসের। অপরদিকে টানা দ্বিতীয় ম্যাচ জিতল ডেভিড ওয়ার্নারের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। এদিন প্রথমে ব্য়াট করে ১৬৪ রান করে হায়দরাবাদ। অনবদ্য অর্ধশতরান করেন প্রিয়ম গর্গ। রান তাড়া করতে নেমে সিএসকের ইনিংস শেষ হয় ১৫৭ রানে। এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন সানরাইজার্সের অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। কিন্তু শুরুতেই ভবনেশ্বর কুমারের বলে খাতা না খুলেই প্যাভেলিয়নে ফেরত যান জনি বেয়ারস্টো। এরপর ইনিংসের রাশ কিছুটা ধরার চেষ্টা করেন মণীশ পাণ্ডে ও ডেভিড ওয়ার্নার। বেশ কিছু আক্রমণাত্বক শটও খেলেন মণীশ পাণ্ডে। কিন্তু সপ্তম ওভারে ব্যক্তিগত ২৯ রানে স্যাম কুরানের বলে আউট হয়ে যান তিনি। সানরাইজার্সের ৬৯ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে। পীযুষ চাওলাকে ছয় মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন ওয়ার্নার। তিনি করেন ২৮ রান। ৬৯ রানেই চতুর্থ উইকেট পড়ে হায়দরবাদের। ৯ রান করে রান আউট হন কেন উইলিয়ামসন। 

পরপ উইকেট হারিয়ে যখন তাপ বাড়ছিল সানরাইজার্সের উপর। এরপর ইনিংসের রাশ ধরেন প্রিয়ম গর্গ ও অভিষেক শর্মা। উইকেট ধরে রাখার পাশাপাশি আক্রমণাত্বক শটও খেলেন এই দুই তরুণ ক্রিকেটার। একাধিক চেষ্টা করেও এই পঞ্চম উইকেটের পার্টনারশিপ ভাঙতে পারেনি চেন্নাই সুপার কিংসের বোলাররা। অবশেষে ১৮ তম ৭৬ রানের পার্টনার শিপ করার পর আউট হন অভিষেক শর্মা। দীপক চাহারের বলে ২৪ বলে ৩১ রান করে আউট হন তিনি। অপরদিকে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন প্রিয়ম গর্গ। দুই তরুণ তারকার অনবদ্য ইনিংসের সৌজন্যে ২০ ওভারের শেষে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের স্কোর দাঁড়ায় ১৬৪ রানে ৫ উইকেট। ২৬ বলে ৫১ রান করে নট আউট থাকেন প্রিয়ম গর্গ।

১৬৫ রানের টার্গেট চেজ করতে নেমে শুরুতেই একের পর এক উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় চেন্নাই সুপার কিংস। তৃতীয় ওভারে মাত্র ১ রান করে ভুবনেশ্বর কুমারের বলে আউট হন শেন ওয়াটসন। দলের ৪ রানে প্রথম উইকেট পড়ে সিএসকের। এরপর কামব্যাক করে ব্য়াট হাতে এদিন নিরাশ করেন অম্বাতি রায়ডু। দলের ২৬ রাবের মাথায় নচরাজনের বলে আউট হন তিনি। করেন মাত্র ৮ রান। কিছুটা লড়াই দেওয়ার চেষ্টা করলেও, এদিন বড় স্কোর করতে ব্যর্থ হন ফাফ ডুপ্লেসি।  যদিও ভাগ্য সাথ দেয়নি তার। ২২ রান করে রান আউট হন ডুপ্লেসি। ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩ রান করে আবদুল সামাদের শিকার হন কেদার যাদব। মাত্র ৪২ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচে কোণঠাসা হয়ে পড়ে সিএসকে।

এরপর সিএসকের ইনিংসের রাশ ধরেন এমএস ধোনি ও রবীন্দ্র জাদেজা। ধীর গতিতে হলেও দলের স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যান তারা। ১৫ তম ওভারের শেষে ধোনির দলের স্কোর দাঁড়ায় ৭৯ রানে ৪ উইকেট। ১৫ ওভারের শেষে রানের গতিবেগ কিছুটা বাড়ানোর চেষ্টা করেন ধোনি ও জাদেজা। নিজেদের অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন তারা।  ১৮ তম ওভারে নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন জাড্ডু। ৩৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি। কিন্তু রানের চাপ থাকায় আরও একটি ওবার বাউন্ডারি মারতে গিয়ে আউট হন জাদেজা। নটরাজনের বলে আউট হন তিনি। ১৮ ওভার শেষে সিএসকের স্কোর দাঁড়ায় ১২১ রানে ৫ উইকেট। ১৯ তম ওভারে আক্রমণাত্বক ভঙ্গিতে কিছুটা রান তোলেন ধোনি। ওভার শেষে স্কোর দাঁড়ায় ১৩৭ রানে ৫ উইকেট। শেষ পর্যন্ত ধোনি চেষ্টা করলেও সিএসকের জয় অধরা থেকে যায়। ৪৭ রানে নট আউট থাকেন ধোনি। চেন্নাইয়ের ইনিংস শেষ হয় ১৫৭ রানে। ৭ রানে ম্যাচ জিতে নেয় ডেভিড ওয়ার্নারের সানরইজার্স হয়দরাবাদ।     

Share this article
click me!