জয় না পেলেও, জামশেদপুর এফসিকে আটকে দিয়ে মরসুমের প্রথম পয়েন্ট ঘরে তুলল এসসি ইস্টবেঙ্গল। প্রায় ৭০ মিনিট ১০ জনে খেলেও জামশেদপুরের অ্য়াটাকিং লাইনকে রুখে দেয় রবি ফাউলারের ছেলেরা। ৯০ মিনিট শেষে গোলশূন্য ব্যবধানে শেষ হয় খেলা। গোল না হলেও, খেলায় উত্তেজনা ছিল চরমে। যদিও ম্য়াচে আধিপত্য ছিল ওয়েন কোয়েলের দলও। ম্য়াচে প্রথমার্ধে রেড কার্ড দেখেন লিন্ডো ও দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি টাইমে রেড কার্ড দেখেন রেন্থলে।
এদিন ম্য়াচের শুরু থেকেই টানটান উত্তেজনায় শুরু হয় খেলা। রক্ষণ সামলে আক্রমণে যাওয়ার পরিকল্পনা নেয় রবি ফাউলার ও ওয়েন কোয়েলের দল। কিন্তু ধীরে ধীরে খেলার রাশ নিজেদের দখলে নিয়ে আসে জামশেদপুর। লাল-হলুদ রক্ষণে ও একের পর এক আক্রমণ আছড়ে পড়তে থাকে। যার জেরে ম্য়াচের ২৪ মিনিটে রেড কার্ডও দেখতে হয় রবি ফাউলারের দলের প্লেয়ারকে। লাল কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে যান লিন্ডো। ১০ জনের ইস্টবেঙ্গলকে পেয়ে আক্রমণের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয় ভালসকিসরা। তবে কোনও মতে রক্ষণ সামলে প্রথমার্ধের খেলা গোল শূন্য সমতায় রাখে এসসি ইস্টবেঙ্গল।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলাতেও নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখে জামশেদপুর এফসি। ১০ জনের এসসি ইস্টবেঙ্গল মূলত রক্ষণ সামলে কাউন্টার অ্যাটাকে যাওয়ার চেষ্টা করে দরবি ফাউলারের দল। তবে বেশি সুযোগ তৈরি করে ভালসকিস, মনরয়, যাদব, অ্যালেক্সরা। কিন্তু এদিন লাল-হলুদের রক্ষণ শত চেষ্টা করেও ভাঙতে সমর্থ হয়নি জামশেদপুরের অ্যাটাকিং লাইন। ম্যাচের ইনজুরি টাইমে লাল কার্ড দেখে মাঠের বাইরে যেতে হয় জামশেদপুরের রেন্থলেইকে। ০-০ ব্যবধানেই শেষ হয় খেলা। ড্রয়ের ফলে মরসুমের প্রথম এক পয়েন্ট পেল লাল-হলুদ শিবির। এসসি ইস্টবেঙ্গলের পরবর্তী ম্যাচ ১৫ তারিখ হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে।