লকডাউন নিয়ে উষ্মা প্রকাশ, শিলিগুড়ি ছাড়ার আগে আরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ কেন্দ্রীয় দলের

  • ১৪ দিনের রাজ্য়ে পরিদর্শন পর্ব শেষ
  •  শিলিগুড়ি ছেড়ে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল
  •  বিশেষ বিমানে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা
  • যাওয়ার আগে লকডাউন নিয়ে কী বলল দল 
     

Asianet News Bangla | Published : May 4, 2020 7:03 PM IST

১৪ দিনের পরিদর্শন শেষে  শিলিগুড়ি ছেড়ে দিল্লি ফিরছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। সোমবার বিকেলে বিশেষ বিমানে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেন প্রতিনিধি দলের পাঁচ সদস্য৷ দিল্লি ফিরে রিপোর্ট জমা দেবেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকে। সেই রিপোর্ট অনুসারেই আগামী পদক্ষেপ নেবে কেন্দ্র। এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

শুরু থেকেই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের বিশেষ নজরে ছিল দার্জিলিং জেলা। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত পরিদর্শন করেন প্রতিনিধি দলের পাঁচ সদস্য। একইসঙ্গে দার্জিলিং ও কালিংপঙ ও জলপাইগুড়ি জেলা পরিদর্শনে যান প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। অন্যদিকে, আন্ত রাজ্য সীমান্ত সীমান্ত আন্তর্জাতিক সীমান্তও পরিদর্শন করেন। বিশেষ করে খতিয়ে দেখেন বাজার এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা৷ কথা বলেন শ্রমিক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে৷

এদিন দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার আগে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের তরফে বিনীত যোশী বলেন, লকডাউন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সমস্তটাই পর্যালোচনা করেছি। লকডাউন সঠিকভাবে পালনের ক্ষেত্রে জনমানসের সচেতনতার প্রয়োজন আছে৷ সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার পাশাপাশি মাস্কের ব্যবহারে জোর দিতে হবে। লকডাউনে আরও জোর দিতে হবে।

এদিকে বিনীত জোশি যখন এই কথা বলছেন তখন কেন্দ্রীয় টিমের প্রধান অপূর্ব চন্দ্র বলেছেন,গত ৩০ এপ্রিল রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে, এবার থেকে কোভিড আক্রান্তদের মৃত্যু দৈনন্দিন পরিসংখ্যানে স্থান পাবে।  স্বচ্ছতা বজায় রাখার উদ্দেশে এটা বড় পদক্ষেপ ঠিকই। যদিও এই পরিসংখ্যান বলে দিচ্ছে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যে ৮১৬ টি কোভিড পজিটিভ পাওয়া গিয়েছিল। যার মধ্যে মারা গিয়েছিলেন ১০৫ জন। 

এই হিসেব বলে দিচ্ছে,পশ্চিমবঙ্গে কোভিডে মৃত্যুর হার ১২.৮ শতাংশ। যা গোটা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। এই মৃত্যুর হারই বলে দিচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে টেস্টিং কম হচ্ছে এবং নজরদারির ক্ষেত্র্রেও সমস্যা রয়েছে। রাজ্য়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের হারে দেশকে ছাপিয়ে গেল পশ্চিমবঙ্গ। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের রিপোর্ট বলছে,রাজ্য়ে এখন কোভিডে মৃতের হার ১২.৮শতাংশ, যা দেশের মধ্য়ে সবথেকে বেশি। রাজ্য় ছাড়ার আগে মুখ্য়সচিব রাজীব সিনহাকে পাঠানো চিঠিতে এই কথা জানিয়ে গিয়েছে সেন্ট্রাল টিমের সদস্যরা। পাশাপাশি রাজ্য়ের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় দলকে  অসহযোগিতার  অভিযোগ করা হয়েছে চিঠিতে।

গত ২ সপ্তাহ ধরে রাজ্য়ে করোনা পরিস্থিতি দেখছে কেন্দ্রীয় টিম। যদিও তাদের অভিযোগ,বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করেনি রাজ্য় সরকার। সোমবারই দিল্লি ফিরে গেছে  কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পাঠানো আন্তঃমন্ত্রক টিম। মুখ্য়সচিবকে লেখা চিঠিতে 

Share this article
click me!