সকালে টিউশনি পড়তে যাচ্ছিল দু'জন স্কুল পড়ুয়া। মাঝ রাস্তায় গরুবোঝাই গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ গেল এক জনের, গুরুতর আহত অন্য়জন। ঘাতক গাড়িটিতে আগুন লাগিয়ে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশকে ঘিরে চলল বিক্ষোভ। রণক্ষেত্রের চেহারা নিল জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি।
মৃতের নাম সন্তোষ রায়। বাড়ি, ময়নাগুড়ির পদমতি কামারটাড়ি এলাকায়। স্থানীয় আব্দুল গনি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল সন্তোষ। রবিবার সকালে বন্ধু সুদীপের সঙ্গে যখন জোড়পাকড়ি এলাকা টিউশনি পড়তে যাচ্ছিল সে, তখনই ঘটে দুর্ঘটনা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাস্তায় পিছন থেকে এসে তাদের সজোরে ধাক্কা মারে গরুবোঝাই একটি গাড়ি। ঘটনাস্থলে মারা যায় সন্তোষ, গুরুতর আহত হন সুদীপও। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
এদিকে এই ঘটনার পর ক্ষেপে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে গাড়ি থেকে গরুগুলিকে নামিয়ে নিয়ে পালিয়ে যান চালক ও খালাসি। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় ঘাতক গাড়ি-সহ দুটি গাড়িতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল। কিন্তু আগুন নেভাতে দেওয়া তো দূর, দমকলকর্মীদের রীতিমতো তাড়া করা হয় অভিযোগ। ফলে বাধ্য হয়েই দমকলকর্মীরা ফিরে যান। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শেষপর্যন্ত যখন ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ এলাকায় পৌঁছয়, তখন পুলিশকর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে নামানো হয় ব়্যাফ।
আরও পড়ুন: চুরি গেল সদ্যোজাত , ব্য়াপক উত্তেজনা মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, সাতসকালে গরুবোঝাই গাড়িটি অত্যন্ত দ্রুত গতিতে চালাচ্ছিলেন চালক। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটিকে ধাক্কা দিয়েছে ওই দুই স্কুল পড়ুয়াকে। যত দ্রুত সম্ভব চালক ও খালাসিকে গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন এলাকার মানুষ। তদন্তে নেমেছে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ।