উত্তমা সরকার, জলপাইগুড়ি: তন্ত্রসাধনায় সিদ্ধিলাভের জন্য নিজের সন্তানকে বলি দিতে পিছুপা হলেন না এক মহিলা! শুধু তাই নয়, মাটি খুঁড়ে দেহটি পুঁতে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতা শেষপর্যন্ত রক্ষা পেল কিশোর। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায়।
আরও পড়ুন: শেড মেরামতির জন্য 'কাটমানি', তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে জেলাশাসকের দপ্তরে ধরনা দম্পতির
অভিযুক্ত মহিলার নাম কুন্তি ওঁরাও। নাগরাকাটার এলাকায় কুন্তি চা বাগানে শ্রমিকের কাজ করেন তিনি। তিন ছেলের সঙ্গে থাকেন চা লাগোয়া বস্তিতে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তন্ত্রসাধনার সিদ্ধিলাভের জন্য এর আগেও মেজো ছেলে সত্যজিৎ মেরে ফেলার চেষ্টা করে কুন্তি। কিন্তু সেবার বরাতজোরে প্রাণ বেঁচে যায় সে। কিন্তু, এবার রীতিমতো আটঘাঁট বেঁধে নেমেছিল অভিযুক্ত মহিলা। জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে ঘরে ছেলেকে আটকে রেখেছিল কুন্তি। এমনকী, তিন ফুট গভীর কবর খোঁড়া হয়েছিল ঘরের মেঝেতে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। মায়ের মতলব বুঝতে পেরে চিৎকার করে শুরু করে ওই কিশোর। আর দেরি করেননি, চিৎকার শুনে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যাঁকে মেরে ফেলার চেষ্টা হচ্ছিল বলে অভিযোগ, সেই কিশোরকে উদ্ধার করে পুলিশ। হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় অভিযুক্ত কুন্তি ওঁরাও। তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় সে অপরাধ স্বীকারও করেছে।
আরও পড়ুন: সপ্তাহে দু’দিনের সম্পূর্ণ লকডাউন নিয়ে নির্দেশিকা, দেখে নিন কী কী বন্ধ, কোথায় মিলছে ছাড়
এদিকে আক্রান্ত কিশোরকে হোমে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্ণধার জানিয়েছেন, 'ঘটনা শুনে চমকে গিয়েছে। ছেলেটিকে আর বাড়িতে রাখা যাবে না। বাড়ি রাখলেই মা-ই ওকে মেরে ফেলবে।'