- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- সপ্তাহে দু’দিনের সম্পূর্ণ লকডাউন নিয়ে নির্দেশিকা, দেখে নিন কী কী বন্ধ, কোথায় মিলছে ছাড়
সপ্তাহে দু’দিনের সম্পূর্ণ লকডাউন নিয়ে নির্দেশিকা, দেখে নিন কী কী বন্ধ, কোথায় মিলছে ছাড়
রাজ্যে ক্রমে বেড়ে চলেছে সংক্রমণ। ইতিমধ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজারের গণ্ডিও ছাড়িয়েছে। তাই আনলক ভারতে এবার ফের লকডাউনের পথেই ফিরেছে রাজ্য সরকার। এনিয়ে গত সোমবারই নবান্নে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন এবার থেকে প্রতি সপ্তাহে ২ দিন করে লকডাউন থাকবে রাজ্যে। মঙ্গলবার সেই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার। এক নজরে দেখে নিন এই লকডাউনে কোথায় মিলছে ছাড় , আর কোথায় হচ্ছে কড়াকড়ি।
- FB
- TW
- Linkdin
চলতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার এবং শনিবার লকডাউন হবে রাজ্য জুড়ে। নবান্নের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, এই দু’দিন সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত রাজ্যে লকডাউনের বিধিনিষেধ জারি থাকবে।
আগামী সপ্তাহে বুধবার-সহ দু’দিন লকডাউন হবে। তবে আগের মতোই জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে ছাড় মিলবে।
আগের মতোই লকডাউনের ২ দিন সরকারি-বেসরকারি অফিস, পরিবহণ ব্যবস্থা সহ রাজ্যে সমস্ত কিছুই বন্ধ থাকবে পুরোপুরি।
রাজ্যের কোথাও কোথাও গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়েছে বলে সোমবার নবান্নে জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, সপ্তাহে দু’দিন আপাতত লকডাউনের বিধি-নিষেধ জারি করা হবে।
বিভিন্ন জেলা থেকে পাওয়া সংক্রমণ-তথ্য, স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট, বিশেষজ্ঞদের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ, স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র, কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা এবং এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জ্ঞানবন্ত সিংহ। তার পরই লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ঘোষণা করেন স্বরাষ্ট্র সচিব।
তবে লকডাউনে যেসমস্ত জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে ছাড় মিলবে তার মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য পরিষেবা। স্বাস্থ্যকর্মী ও রোগীদের নিয়ে বেসরকারি এবং ব্যক্তিগত গাড়িতে যাতায়াত করা যাবে।
খোলা থাকবে ওষুধের দোকান।
আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে। আদালত, সংশোধনাগারে পরিষেবা ও দমকল লকডাউনের বাইরে রয়েছে।
বিদ্যুৎ, জল, জঞ্জালের মত জরুরি পরিষেবা অব্যাবত থাকবে।
ই-কমার্সকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। সেবির নিয়ম অনুযায়ী চা চালু থাকবে।
একটানা উৎপাদন প্রক্রিয়া চালু রাখতে বাধ্য যেসব শিল্প ও গৃহশিল্প তাদের কাজের অনুমতি মিলেছে।
রাজ্যের ভিতরে ও আন্তরাজ্য পরিবহণে ছাড় রয়েছে।
খোলা থাকবে কৃষিক্ষেত্র ও চাবাগান।
মুদ্রণ ও বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যম লকডাউনের আওতার বাইরে।
রান্না করা খাবারের হোম ডেলিভারিকেও লকডাউনের আওতা থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।