শাজাহান আলি, ঝাড়গ্রাম: সাতসকালে একি কাণ্ড! ভরা বাজারে ঢুকে পড়ল শাবক-সহ বেশ কয়েকটি দাঁতাল হাতি। আতঙ্কে রীতিমতো ছোটাছুটি করতে শুরু করেন দোকানদার ও স্থানীয় বাসিন্দারা। হুলুস্থুলকাণ্ড ঝাড়গ্রামের গিধনী এলাকায়।
আরও পড়ুন: কুলতলিতে ফের বাঘের আতঙ্ক, লাঠি হাতে রাত পাহারায় গ্রামবাসীরা
খাবার সন্ধানে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে যখন-তখন। ঝাড়গ্রামের জঙ্গলে এমনিতে হাতির অভাব নেই। তারপর আবার এসে জুটে যায় দলমার হাতিরাও। পথে-ঘাটে বিপদ যেন ওঁত পেতে বসে থাকে! বনদপ্তর সূত্রে খবর, প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া ঝাড়গ্রামের জামবনি, গিধনী-সহ আশেপাশে এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তিরিশটি দলমা হাতি। জামবনি বড়শোল এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে এসে বিপদে পড়েছেন এক যুবক। ভোরে বাড়ি ফেরার পথে তাঁকে শুঁড়ে তুলে আছাড় মেরেছে একটি হাতি। এখনও হাসপাতালে ভর্তি ওই যুবক। শারীরিক অবস্থা রীতিমতো আশঙ্কাজনক। বাঁচবেন কিনা, তার ঠিক নেই। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার হাতির পাল ঢুকে পড়ল বাজারে।
আরও পড়ুন: বিড়ির আগুনে পুড়ল শরীর, নেশার টানে মর্মান্তিক পরিণতি বৃদ্ধের
ঘড়িতে তখন সকাল আটটা। দোকানপাঠ খুলে গিয়েছে, থলি হাতে গিধনী বাজারে ভিড় করেছেন ক্রেতারা। দিব্য়ি চলছিল কেনাবেচা। আচমকাই ছন্দপতন। শাবক-সহ বাজারে ঢুকে পড়ল বেশ কয়েকটি দাঁতাল হাতি। ব্যাস আর যায় কোথায়! চোখের নিষেমে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল এলাকায়। প্রাণভয়ে তখন যে যেদিকে পারছে, ছুটে পালানোর চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ আবার চিৎকার করতে শুরু করেছেন। হাতিগুলি অবশ্য কারও কোনও ক্ষতি করেনি। বরং চিৎকার-চেঁচামিচিতে খাবড়ে গিয়ে চলে যায় জঙ্গলের দিকে।