গত কয়েক বছর ধরে ২১ জুলাই কংগ্রেসের ঘর ভেঙেছে তৃণমূল। এবার সেই একুশে জুলাই তৃণমূলের ভবিষ্যৎবাণী করল কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বললেন, জানুয়ারি মাসেই তৃণমূলের একশ বিধায়ক আর ২০ জন মন্ত্রী দল ছাড়বেন। তবে তারা কোথায় যাচ্ছেন তা নিয়ে খোলসা করেননি এই বর্ষীয়ান নেতা।
মঙ্গলবারই ২১ জুলাইয়ের ভার্চুয়াল জনসভা থেকে রাজ্য়ের নানা দলের কর্মীদের তৃণমূলে আসার আহ্বান জানান তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী খোদ দলীয় কর্মী যারা বিজেপিতে গেছেন তাদেরও ফিরে আসার কথা বলেন মমতা। এবার তৃণমূল নেত্রীর সেই সেই আহ্বানকে খোঁচা দিলেন বিধানসভায় কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান।
তিনি বলেন, এখন মুখ্যমন্ত্রী গণতন্ত্রের কথা বলছেন। রাজ্য়ে গণতন্ত্রকে খতম করে হিটলারের থেকে স্বৈরাচারী শাসন চালিয়েছেন উনি। বছরের পর বছর শহিদ দিবসের মঞ্চকে দলত্যাগের মঞ্চে পরিণত করেছেন। একের পর এক বিরোধী দলের বিধায়ক, জেলার নেতাদের ভাঙিয়ে নিয়ে গেছে । কোথায় অর্থের লোভ দেখিয়ে কাজ করেছেন। তো কোথাও অর্থে কাজ না হলে পুলিশের ভয় দেখিয়েছেন। যারা তৃণমূলে গেছেন তাদের অনেকেই উপনির্বাচনের মুখোমুখি হননি। এটা গণতন্ত্রের প্রহসন নয় তো কি ?
তৃণমূল নেত্রীকে কটাক্ষ করতে বাঘের গল্পের উদাহরণ দেন আব্দুল মান্নান। তিনি বলেন,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে এখন বিপদে পড়া বাঘের মতো মনে হচ্ছে। কিন্তু বাঘকে বিপদ থেকে রক্ষা করে কী পুরষ্কার পেয়েছিল গ্রামবাসীরা সকলেই জানেন। কিন্তু বাংলার মানুষে সেই ভুল করবে না। কারণ তৃণমূল দলটাই আর থাকবে না। ঠিক যে রকম অগণতান্ত্রিক ভাবে তিনি বিরোধী দল ভেঙেছেন। জানুয়ারি মাসেই একশো বিধায়ক আর ২০ জন মন্ত্রী দল ছাড়বেন।
একই সুর শোনা গিয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গলায়। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে গনতন্ত্রকে খুন করেছেন মমতা। অতীতে টাকার প্রলোভন কেস তুলে নেওয়ার লোভ দেখিয়ে তৃণমূলে অন্য দল থেকে নেতাদের নেওয়া হয়েছে। এখন কেউ পাগল হলেই ওনার আহ্বানে তৃণমূলে যাবে।