বিহারে শতাধিক শিশুর প্রাণ কেড়েছে এনকেফেলাইটিস। বিহারের পরে কি তা এবার হানা দিল কলকাতায়? শোরগোল শুরু হয়েছে ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথে তিনজন এলকেফেলাইটিস আক্রান্ত ভর্তি হওয়ার পরে। এদের মধ্যে হাওড়ার আক্রান্তের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। বর্ধমান ও হুগলির বাসিন্দা অন্য দুইটি শিশু অপেক্ষাকৃত কম বিপজ্জনক।
ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথের ডিরেক্টর ডঃ অপূর্ব কুমার ঘোষ বলেছেন, 'এনকেফেলাইটিস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে কিনা এখনই বলা মুশকিল, তবে হ্যাঁ আমরা তিনটি আক্রান্ত শিশুসর চিকিৎসা করছি। বিহারে এনকেফেলাইটিস একটি ভাইরাসটির কারণে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে সবচেয়ে উন্নত দেশেও আগে থেকে অনুমান করা যায় না এনকেফেলাইটিসের মত রোগ কখন মহামারির আকার ধারণ করবে ঠিক কী কারণে।
'
প্রসঙ্গত বিহারে প্রাথমিক ভাবে ভাবা হয়েছিল লিচু থেকে ছড়িয়ে পড়ছে এই রোগ। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন দারিদ্য নয়, অপুষ্টি এর মূল কারণ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অভাবেই শিশুরা এনকেফেলাইটিসে আক্রান্ত হয়েছে।
ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথ সূত্রের খবর পশ্চিমবঙ্গের এই তিন শিশুর ক্ষেত্রে এনসেফেলাইটিস ধরা পড়েছে প্রথমেই। চিকিৎসকেরা বারবার সতর্ক করছেন, এনকেফেলাইটিস প্রথমেই ধরা না পড়লে তা প্রাণঘাতী হতে পারে। প্রাকবর্ষার মরশুম এনকেফেলাইটিস সংক্রমণের সবচেয়ে গুরুত্বরপূর্ণ সময়। এনকেফেলাইটিসকে দূরে রাখতে ভাল খাবার দাবার, মশামাছি থেকে দূরে থাকা এবং রাস্তার পশুদের থেকেও দূরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। উল্লেখ্য এক তৃতীয়াংশ ক্ষেত্রে এনসেফেলাইটিস কোনও রকম বড় শারিরীক ক্ষতি না করে রোগীকে মুক্তি দেয়।