বাংলা। গত কয়েকদিন ধরে গোটা রাজ্যে গড়ে ১০ হাজারের বেশি করোনা সংক্রমণ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। এমতবস্থায় নতুন করে করোনা বিধির উপর জোর দিতে অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। একইসঙ্গে এদিন নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে করোনা আক্রান্তদের দ্রুত আরোগ্যও কামনা করেন তিনি।
করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে গোটা রাজ্যে। কার্যত সংক্রমণের চূড়ায় দাঁড়িয়ে বাংলা(Coronavirus in west Bengal)। গত কয়েকদিন ধরে গোটা রাজ্যে গড়ে ১০ হাজারের বেশি করোনা সংক্রমণ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। এমতবস্থায় নতুন করে করোনা বিধির উপর জোর দিতে অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়(Chief Minister Mamata Banerjee)। একইসঙ্গে এদিন নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে(press conference from Navanna) করোনা আক্রান্তদের দ্রুত আরোগ্যও কামনা করেন তিনি। পাশাপাশি গত কয়েকদিন ধরেই মমতার করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর উুঁকি মারছিল বিভিন্ন মহলে। এদিন সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে মমতা বলেন “আমার কোভিড হয়নি, জল্পনা করে খবর করলে হবে না।”
তবে এদিন সাংবাদিক বৈঠকের শুরু থেকেই জনসচেতনতা বৃদ্ধির উপর জোর দিতে দেখা যায় মমতাকে। করোনা আক্রান্তদের দ্রুত আরোগ্যা কামনার পাশাপাশি মমতা বলেন, “ মাস্ক-গ্লাভস ভালো করে পড়ুন। প্রশাসন জোর করে মাস্ক পরাতে পারে না। এটা নিজেকে বাঁচতে নিজেকেই করতে হবে। এই রোগটা মারাত্মক নয়, কিন্তু দ্রুত ছড়াচ্ছে। সামান্য জ্বরে ভয় পাবেন না, ভালো করে খাওয়া দাওয়া করুন। বাড়িতে কেউ আক্রান্ত হলে বাড়ির সদস্যরা বাড়িতেই থাকুন।” এগিয়ে সঙ্গে রাজ্যের করোনা পরিসংখ্যান তুলে ধরে মমতা জানান, ৭-৮ দিনে ৪৫ হাজারের বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। তবে বেশিরভাগই রয়েছেন হোম আইসোলেশনে। হাসপাতালে ভর্তি ২ হাজারের বেশি মানুষ। হোম আইসোলেশনে থাকা মোট রোগীর সংখ্যা ৩০ হাজারের বেশি।”
আরও পড়ুন- সংক্রমণের চূড়ায় রাজ্য, আদৌও কী পিছোচ্ছে পুরভোট, বাড়ছে রাজনৈতিক চাপানউতর
অন্যদিকে রাজ্যের করোনা টিকাকরণের হালহকিকত নিয়ে এদিন একগুচ্ছ তথ্য সামনে আনেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে কেন্দ্রের কাছে আরও বেশি টিকা পাঠানোরও দাবি জানান তিনি। তবে এদিনের সাংবাদিক বৈঠকেই মমতা জানান এখনও রাজ্যের ৪০ শতাংশ মানুষের করোনা টিকা পানানি। সেই সঙ্গে মমতা আরও জানান, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ১০ কোটি ৭৭ লক্ষ ৬৪ হাজার ৭ জনের টিকাকরণ সম্পন্ন হয়েছে। তাদের মধ্যে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ৬ কোটি ৫৪ লক্ষের বেশি মানুষ। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৪ কোটির বেশি মানুষ। ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ শুরুর পর এখনও পর্যন্চ ৪ লক্ষ ৪৬ হাজারের বেশি কিশোর-কিশোরী টিকার একটি ডোজ পেয়ে গিয়েছেন। তবে আমাদের প্রথমিক পর্যায়ে ১৪ কোটি করোনা ভ্যাকসিনের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এখন চাহিদা বেড়েছে। কিশোরদের ভ্যাকসিনেশনের জন্য আরও ভ্যাকসিন চাই। বুস্টার ডোজও চাই।”