তিনজনের পর এবার আরও চারজন। করোনার মতো মারণ ভাইরাস থেকে মুক্তি পেলেন নতুন চার জন। শনিবারই তাঁদের হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে রাজ্য়ে করোনা থেকে মুক্তির সংখ্য়া দাঁড়ালো ৭।
সুস্থদের দেখে কিছুটা হলেও বল পাচ্ছে অসুস্থরা। করোনা মানেই যে মৃত্যু নয় তা এখন বুঝতে পারছে তারাও। গত মঙ্গলবারই বেলেঘাটা আইডি থেকে সুস্থ হওয়ার পর ছাড়া পেয়েছেন তিন করোনা-আক্রান্ত। আপাতত নিজেদের বাড়িতে হোম কোয়ারান্টাইনে রয়েছেন তাঁরা। স্বাস্থ্য় দফতরের গাইডলাইন অনুযায়ী ১৪দিন পর তাদের আরও একবার লালরসের নমুনা পরীক্ষা হবে। সেখানে করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এলেই পুরোপুরি মুক্তি তাদের। লকডাউন উঠে গেলে বাড়ির বাইরে বেরোতে পারবেন তারা।
একইভাবে এদিন আরও চারজনকে বাড়ি পাঠালো স্বাস্থ্য় দফতর। তাদেরও একই বিধি মনে বাড়িতে থাকতে হবে ১৪দিন। তবে তাদের সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি হাসপাতালের তরফে। সূত্রের খবর, আরও পাঁচ জনও করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে। তবে মনে করা হচ্ছে ওই পাঁচজনের বাড়ির লোক কোয়ারান্টাইনে রয়েছেন বলেই তাদের আরও ১৪ দিন হাসপাতালেই রাখা হতে পারে। সেক্ষেত্রে বাড়ির লোকের কোয়ারান্টাইনের সময় শেষ হয়ে গেলে তারাও বাড়িতে ফিরতে পারবেন।
অন্যদিকে, সরকারি সূত্রের খবর, রাজ্যে এই মুহূর্তে করোনা অ্যাক্টিভ ৪৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১১ জনের দেহে মিলেছে সংক্রমণ। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ৬ জন হলেন কালিম্পংয়ের একটি পরিবারের সদস্য। বাকি ৫ জন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার বাসিন্দা। শনিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে এই তথ্য দিয়েছেন মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা। তিনি আরও জানান, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৭টি করোনা পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে। যার মধ্য়ে ৫টি সরকারি এবং ২টি বেসরকারি পরীক্ষাকেন্দ্র। আরও পরীক্ষাকেন্দ্র তৈরির চেষ্টা চলছে।
রাজ্যে এই মূহূর্তে ৫১৬টি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার রয়েছে এবং কোভিড হাসপাতাল তৈরি রয়েছে ৫৯টি। মোট ২,৬২৬ জন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রয়েছেন এই মূহূর্তে। ৫২ হাজার মানুষ হোম কোয়ারেন্টাইনে অর্থাৎ গৃহ পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। পাশাপাশি চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরি জানিয়েছেন, বেলেঘাটা আইডিতে চিকিৎসাধীন ২৪ জনের মধ্যে ৪ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ওই ২৪ জনের মধ্যে ৫ জনের দুবার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তাঁরাও হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার অপেক্ষায় বলে জানিয়েছেন তিনি।