হাসপাতাল চত্বরের মধ্যে গাড়ি রাখা নিয়ে বচসা। আর তার জেরেই হাতাহাতি। এতেও থামেনি গণ্ডগোল। প্রথমে হাসপাতাল চত্বরে মোতায়েন বেসরকারি সংস্থার নিরাপত্তারক্ষীদের মারধরের অভিযোগ। এরপর পুলিশ এলে তাদের উপরেও চড়াও হওয়ার দাবি। এই অভিযোগের ভিত্তিতে আপাতত শ্রীঘরে এক দম্পতি। রবিবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কলকাতার আনোয়ার শাহ ক্রসিং-এর কাছে এমআর বাঙুর হাসপাতালে।
আরও পড়ুন, কাশ্মীরে ছিল প্রাণের ভয়, বাংলায় নেমে বেকারত্বের ভয় বাঙালি শ্রমিকদের
সোমবার সকালে যাদবপুর থানা থেকে ওই দম্পতির গ্রেফতারির খবর নিশ্চিত করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রোহিত যাদব নামে এক ব্যক্তি এমআর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাঁকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে চাইছিল পরিবার। রবিবার দুপুরে এই জন্য হাসপাতালে আসেন রোহিতের আত্মীয় সঞ্জীব ভৌমিক। কিন্তু, এমারজেন্সির সামনে গাড়ি রাখা নিয়ে হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে তাঁর বচসা শুরু হয়।
নিরাপত্তারক্ষীরা গাড়ি সরিয়ে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে সঞ্জীবকে। অভিযোগ, তিনি অনুরোধ তো শোনেননি উল্টে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বচসায় জড়ান। এই বচসা এরপর গড়ায় হাতাহাতিতে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই সঞ্জীব গাড়ি নিয়ে মেন গেট দিয়ে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীদের প্রবল বাধায় তিনি গেটে আটকে যান। অভিযোগ, এর কিছুক্ষণের মধ্যে পনেরো জনের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে হাজির হয়। এরা সকলেই হয় সঞ্জীবের আত্মীয় অথবা পরিচিত। এদের সঙ্গেই ঘটনাস্থলে আসেন সঞ্জীবের স্ত্রী বুলা ভৌমিক। অভিযোগ, এরপর বছর সাঁইত্রিশের সঞ্জীব এবং তাঁর বছর ত্রিশের স্ত্রী বুলা দলবল নিয়ে এমআর বাঙুর হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বাদানুবাদ ও মারপিটে জড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন, রোজ কলকাতার বুকে খেলে বেড়াচ্ছে কতটা বিষবায়ু, দেখে নিন পরিসংখ্যানটা
এমআর বাঙুরে গণ্ডগোলের খবর পেয়ে যাদবপুর থানার প্যাট্রোলিং-এর একটি বাহিনী সেখানে হাজির হয়। তিন পুলিশ কর্মীদের এই দলে একজন এএসআই পদমর্যাদার অফিসারও ছিলেন। পুলিশের দাবি, পুলিশকর্মীরা সঞ্জীব এবং তাঁর স্ত্রীকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। পুলিশের আরও দাবি, সঞ্জীব বা বুলা এবং তাঁদের সঙ্গে থাকা লোকজন কোনও কথাই শোনেননি। উল্টে উত্তেজিত সঞ্জীব, বুলা এবং তাঁদের লোকজন পুলিশের উপরে চড়াও হয়। ঘটনা হাতাহাতি এবং মারধরেও পৌঁছয় বলে অভিযোগ। পুলিশের দাবি, সঞ্জীব ও বুলার হাতে তিন পুলিশ কর্মী আহত হন। এমনকী হাসপাতালের চার নিরাপত্তারক্ষীও আহত হন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর পুলিশ তদন্ত শুরু করে সঞ্জীব ও বুলার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। পরে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।