লেকটাউনের বাসিন্দা ওই যুবতী মেঙ্গালুরুতে পড়াশোনা করেন। মেডিক্যালের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী তিনি। আপাতত লেকটাউনে বাড়িতেই রয়েছেন।
জানতে পারেননি যে তাঁর নাম, ফোন নম্বর ও ছবি ব্যবহার করে ডেটিং সাইটে একটি প্রোফাইল তৈরি করা হয়েছে। হঠাৎই রাতের দিকে তাঁর কাছে একাধিক ফোন আসতে শুরু করেছিল। ফোনে অশালীন প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছিল তাঁকে। তারপরই জানতে পারেন যে তাঁর অজান্তেই ডেটিং সাইটে একটি প্রোফাইল খোলা হয়েছে। তার মাধ্যমেই ফোন আসছে তাঁর কাছে। এরপর সঙ্গে সঙ্গে লেকটাউন থানায় অভিযোগ জানান ওই যুবতী। তারপরই মেঙ্গালুরু থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
লেকটাউনের বাসিন্দা ওই যুবতী মেঙ্গালুরুতে পড়াশোনা করেন। মেডিক্যালের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী তিনি। আপাতত লেকটাউনে বাড়িতেই রয়েছেন। অভিযোগ, সম্প্রতি তাঁর কাছে বিভিন্ন অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসতে শুরু করেছিল। রীতিমতো বিরক্ত হয়ে পড়েন তিনি। তারপর জানতে পারেন একটি ডেটিং সাইটে তাঁর নাম, নম্বর ও ছবি ব্যবহার করে একটি প্রোফাইল তৈরি করা হয়েছে। সেখান থেকেই একাধিক ফোন আসছে তাঁর কাছে।
আরও পড়ুন- 'আগে ইডি সিবিআই থেকে বাঁচুন, পরে আমাদের বিধায়কদের নিয়ে ভাববেন', অভিষেককে খোঁচা দিলীপের
অভিযোগ, ফোন করে তাঁকে নানান কু প্রস্তাব দেওয়া হয়। গোটা বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানান ওই যুবতী। এরপর লেকটাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। জানতে পারেন, কর্নাটকের এক যুবক এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। সঙ্গে সঙ্গে লেকটাউন থানার তরফে কর্নাটক পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এরপরই মেঙ্গালুরুর কাডাবা থেকে সঞ্জয় বাল্লেরি নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন- প্রবল জলোচ্ছ্বাস দিঘায়, জলে নামতে না পারলেও পাড়ে বসেই পা ভেজাচ্ছেন পর্যটকরা
গ্রেফতার করার পর ওই যুবককে প্রথমে কর্নাটকের কুট্টুর আদালতে তোলা হয়। সেখানে সঞ্জয়কে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল লেকটাউন থানার পুলিশ। সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। তারপরই সঞ্জয়কে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। আজই তাঁকে বিধাননগর আদালতে তোলা হবে। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তাঁকে জেরা করতে চায় পুলিশ।
আরও পড়ুন- ভুয়ো টিকাকাণ্ডে তৎপরতা, দেবাঞ্জন দেবকে জেলে গিয়ে জেরার অনুমতি পেল ইডি
সঞ্জয় ওই যুবতীর পূর্ব পরিচিত কিনা? কেন তিনি এই কাজ করেছেন? তাঁর সঙ্গে আর কেউ যুক্ত রয়েছেন কিনা তা জানার চেষ্টা করবে লেকটাউন থানার পুলিশ।