ভুয়ো টিকাকাণ্ডে তৎপরতা, দেবাঞ্জন দেবকে জেলে গিয়ে জেরার অনুমতি পেল ইডি

স্পেশাল কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, দেবাঞ্জন যখন পুলিশ হেফাজত থেকে জেল হেফাজতে যাবেন তখনই জেল কর্তৃপক্ষের তরফে ইডিকে বিষয়টি জানানো হবে। সেই মতো জেলে গিয়ে ইডি আধিকারিকরা দেবাঞ্জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। 

Asianet News Bangla | Published : Sep 7, 2021 7:49 AM IST

কসবার ভুয়ো টিকাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবকে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। এই মুহূর্তে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন দেবাঞ্জন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চেয়ে স্পেশাল কোর্টে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত। স্পেশাল কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, দেবাঞ্জন যখন পুলিশ হেফাজত থেকে জেল হেফাজতে যাবেন তখনই জেল কর্তৃপক্ষের তরফে ইডিকে বিষয়টি জানানো হবে। সেই মতো জেলে গিয়ে ইডি আধিকারিকরা দেবাঞ্জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। সব জেল সুপারকেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। 

গত জুন মাসে কসবার একটি টিকাকরণ শিবিরে জাল টিকা দেওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। তারপরই গ্রেফতার করা হয় ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবকে। তাঁকে গ্রেফতার করার পরই বিশাল চক্রের হদিশ পান গোয়েন্দারা। উঠে আসে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তল্লাশি চালানো হয়েছিল দেবাঞ্জনের বাড়ি ও অফিসে। সেখান থেকে একাধিক জাল নথি উদ্ধার করা হয়। পাওয়া গিয়েছিল ভুয়ো টিকার প্রচুর শিশিও। সেখান থেকে কোভিশিল্ড লেবেল দেওয়া ১২০টি ভায়াল উদ্ধার করা হয়েছিল। সেই লেবেল ওঠানোর পরই তার নিচে থেকে বেরিয়ে আসে অ্যামিকাসিন ৫০০ লেখা স্টিকার। তাতেই সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করেছিল তদন্তকারীদের মনে। কোভিশিল্ডের নাম করে দেবাঞ্জন অন্য কোনও ইঞ্জেকশন দিয়েছিল বলে অনুমান করেছিলেন তাঁরা। তারপর শিশিগুলির নমুনা পরীক্ষা করে জানা যায় কোভিশিল্ডের পরিবর্তে অ্যামিকাসিন ইঞ্জেকশন দিয়েছিলেন দেবাঞ্জন। 

আরও পড়ুন- বিছানায় স্কুল ইউনিফর্ম পরা ছাত্রের দেহ, পাশে মায়ের নলিকাটা শরীর, বেহালার নৃশংস হত্যাকাণ্ড শিউরে দিল সকলকে

ভুয়ো টিকাকাণ্ডের তদন্ত প্রথমে শুরু করেছিল কসবা থানার পুলিশ। পরবর্তীকালে লালবাজারের গোয়েন্দা শাখার হাতে সেই তদন্তভার যায়। এরপর ২৬ অগাস্ট ঘটনার ৬৪ দিন পর ভুয়ো টিকাকাণ্ডে হাজার পাতার চার্জশিট পেশ করে কলকাতা পুলিশ। ওই চার্জশিটে নাম রয়েছে দেবাঞ্জন দেব সহ মোট আট জনের। সুশান্ত দাস, শান্তনু মান্না, শরৎ পাত্র, অরবিন্দ বৈদ্য, অশোক কুমার রায়, রবীন শিকদার ও কাঞ্চন দে। ৪৫টি সিজার লিস্ট জমা পড়েছে। এদের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিয়েছেন ১৩০ জন। জুলাই মাসে এই ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় ইডি। কলকাতা পুলিশের কাছে রিপোর্ট তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পুলিশের কাছে দেবাঞ্জন-কাণ্ডের বিষয়ে একাধিক তথ্য জানতে চাওয়া হয়।

আরও পড়ুন- ভুয়ো টিকাকাণ্ডে হাজার পাতার চার্জশিট পেশ, নাম রয়েছে দেবাঞ্জন সহ ৮ জনের

তদন্তে দেখা গিয়েছে বিপুল টাকা আসত দেবাঞ্জনের কাছে। দেবাঞ্জনের টাকার উৎস কোথায়, সেই টাকা কী ভাবে ব্যবহার করা হত? তা খতিয়ে দেখতে চাইছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। দেবাঞ্জনকে হেফাজতে নিতে পারে ইডি। তার আগে তদন্তের স্বার্থে সব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

Share this article
click me!