বাঙুরের পর কি এবার আরজি কর, ফের এক ভাইরাল ভিডিও বাড়াচ্ছে উদ্বেগ, দেখুন

বাঙুর হাসপাতালের ভাইরাল ভিডিও নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি

তারমধ্যেই ফের ভাইরাল হল আরও এক ভিডিও

দাবি করা হচ্ছে সেটি আরজি কর হাসপাতালের

ভিডিও সত্যি হলে তা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় হবে

 

Asianet News Bangla | Published : Apr 22, 2020 7:13 PM IST / Updated: Apr 23 2020, 12:53 AM IST

বাঙ্গুর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডের ভাইরাল ভিডিও নিয়ে ইতিমধ্যেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এরপর আবার কলকাতার এক সরকারি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডের অব্যবস্থার ভিডিও ভাইরাল হল। যাকে কেন্দ্র করে রাজ্যে বিরোধীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের কোভিড-১৯ প্রতিক্রিয়ার সমালোচনায় আরও বেশি মুখর হয়ে উঠতে পারেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

দ্বিতীয় ভিডিওটি আরজি কর মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাাতাল-এর আইসোলেশন ওয়ার্জের বলে দাবি করা হচ্ছে। ভিডিওটি কবে ও কে রেকর্ড করেছেন, তা জানা যায়নি। এশিয়ানেট নিউজ বাংলার পক্ষ থেকে ভিডিওটির সত্যতাও যাচাই করা যায়নি। নেপথ্যে এক মহিলার কন্ঠ রয়েছে, যিনি দাবি করেছেন, তাঁদের আরজি কর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। আর সেখানকার চূড়ান্ত খারাপ ব্যবস্থাপনা নিয়ে তিনি অভিযোগ করেছেন।

বাঙুরের মতো মৃতদেহের কাছেই শুতে না হলেও আরজি কর-এর আইসোলেশন ওয়ার্ড বলে যাকে দাবি করা হচ্ছে, সেখানেও দেখা যাচ্ছে বেশ গায়ে-গায়েই শয্যাগুলি রাখা। মেঝে থেকে দেওয়াল - সব জায়গাতেই নোংরা রয়েছে। মহিলার দাবি, 'সম্ভবত ঘরটি কোনও রকমে খালি করা হয়েছে'। এরপর তিনি এগিয়ে যান শৌচাগারের দিকে।

শৌচাগারের অবস্থা আরই খারাপ। চূড়ান্ত নোংরা, হতশ্রী অবস্থা। এমনকী, সেখানে একটি বেড়ালকেও বসে থাকতে দেখা গিয়েছে। মহিলা জানিয়েছেন, আইসোশন ওয়ার্ডে হবেশ কিছু বেড়ালের আনাগোনা রয়েছে। সেইসঙ্গে, শৌচাগারে জলের ব্যবস্থাও নেই। শৌচাগার সংলগ্ন ময়লা ফেলার বালতিগুলি উপচে পড়ছে। এই অবস্থায় ওই মহিলা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, সুস্থ মানুষও এই আইসোলেশন ওয়ার্ডে থাকলে অসুস্থ হয়ে পড়বেন। খেদ প্রকাশ করেছেন, 'আমাদের নরকে এনে ফেলেছে। এভাবে থাকা যায় না'।

করোনাভাাইরাস-এর মতো ছোঁয়াচে ভাইরাস এর আগে পৃথিবী দেখেনি বলে জানিয়েছেন ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে শুরু করে ভারতের আইসিএমআর সকলেই পরিচ্ছন্নতার পরামর্শ দিচ্ছেন। এই অবস্থায় এই ভিডিও যদি সত্যি হয়ে থাকে, যদি সত্যিই আইসোলেশন ওয়ার্ডের এই চেহারা হয়, তাহলে তা ভয়ের বইকি। এর পিছনে কাদের গাফিলতি রয়েছে, তাও খতিয়ে দেখা দরকার।

 

Share this article
click me!