এবিভিপি-র কর্মী সমর্থকেরা রাস্তায় নামতেই বাড়তে থাকে উত্তেজনা। গেরুয়া শিবিরের মিছিল ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি।
করোনার গ্রাস কমতেই ফের রাজ্যজুড়ে ক্রমেই তীব্র হচ্ছে স্কুল-কলেজ খোলার দাবি। দুদিন আগেই কলেজ স্ট্রিটে স্কুল-কলেজ খোলার দাবিতে বড় মিছিল করতে দেখা যায় আইসা, পিডিএসএফ, রিফ্র্যাকশনের মতো বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলিকে। এবার প্রজাতন্ত্র দিবসের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার এবিভিপি ও এসএফআই-র মিছিলে ফের উত্তাল হল কলেজ স্ট্রিট (College Street was abuzz with ABVP and SFI processions)। দাবি একটাই অবিলম্বে করোনা বিধি মেনে খুলতে হবে স্কুল কলেজ (School and college should be opened)। এদিকে জোড়া মিছিলের খবর আগে থেকেই ছিল পুলিশের কাছে। সেই মতো কলেজ স্ট্রিটে তৈরিও ছিল পুলিশি ব্যারিকেড। এদিন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of Calcutta) সামনে স্কুল খোলার দাবিতে বড়সড় বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেয় এসএফআই (SFI called for a large-scale protest)। নির্ধারিত সময় সূচি মেনে হয় মিছিল। পাশাপাশি স্কুল খোলার দাবিতে কলেজ স্ট্রিটে মঞ্চ বেঁধে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তারা। এদিকে এসএফআই-র মিছিলের আধ ঘণ্টার ব্যবধানে একই দাবিতে একই জায়গায় পথে নামে এবিভিপি।
এবিভিপি-র কর্মী সমর্থকেরা রাস্তায় নামতেই বাড়তে থাকে উত্তেজনা। গেরুয়া শিবিরের মিছিল ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি। সরাসরি পুলিশের সঙ্গেই বচসায় জড়়িয়ে পড়েন এবিভিপি সদস্যরা। কলেজ স্ট্রিটের চার দিক জুড়ে চলে বিক্ষোভ। রাস্তায় শুয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ছাত্ররা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে বিক্ষোভের আঁচ আরও বাড়তে থাকে। এরপরেই ফের মিছিল এগোতেই পুলিশও সামনে এগিয়ে আসে। কিন্তু পুলিশি বাধা উপেক্ষা করেই প্রথম ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেন বিক্ষোভকারীরা। ক্যাম্পাসের দিকে এগোতে থাকেন তাঁরা। এদিকে সেই সময় পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে এবিভিপি নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন-দিনভর Coochbehar শহরে চলল বাঘের দাপাাপি, বন দপ্তরের ঘুমপাড়ানি ইঞ্জেকশনেই খাঁচা বন্দি চিতা
আরও পড়ুন-বাজেট শব্দের উৎপত্তি কোথা থেকে, কী বলছে ভারতীয় সংবিধান
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শুধু ছাত্র সংগঠন নয়, স্কুল কলেজ খোলার দাবিতে ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিরোধীরা সরব হয়েছে। আওয়াজ তুলেছে বামেরা। অন্যদিকে এদিনই স্কুল কলেজ খোলার দাবি সুর চড়াতে দেখা যায় বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন সকালেই স্কুল খোলা নিয়ে সরব হয়ে তিনি বলেন, “ভয় কাটিয়ে মাস্ক পরে স্কুলে যাক পড়ুয়ারা। এখন পড়ুয়াদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে। স্কুল যাওয়ার জন্য সাবধানতার প্রয়োজন, ভয়ের পরিবেশ নয়।” এদিকে এদিনই আবার কলেজ স্ট্রিটে এবিভিপি-র আন্দোলন নিয়ে নতুন করে শুরু হয় চর্চা। এদিকে করোনা কাঁটার জেরে দীর্ঘ প্রায় দেড় বছরের ধরে বন্ধ ছিল স্কুল-কলেজ। অবশেষে গত বছরের শেষ দিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির দরজা খুললেও তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই ফের ঝোলে তালা।
আরও পড়ুন- কেরলে দৈনিক সংক্রমণ পার করতে চলেছে ৫০ হাজারের গণ্ডি, দিল্লিতেও খানিক বাড়ল উদ্বেগ