সংক্ষিপ্ত
বাঘ দেখতে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন অনেকেই। এমনকি আশেপাশের এলাকা থেকেও ছুটে আসেন অনেকে। এমনকী ভিড় সামলাতে হিমশিম খায় পুলিশ ও বন দপ্তরের কর্মীরা।
জলপাইগুড়ির পর এবার কোচবিহারে দেখা মিলল চিতাবাঘের (leopard was seen in Coochbehar)। তবে জঙ্গল সংলগ্ন এলাকা নয়, একেবারে লোকালয়ে মিলল চিতাবাঘের দেখা(leopard in the locality)। বৃহস্পতিবার সকালে কোচবিহার শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে (Ward 3 of coochbehar city) এলাকাবাসীরা একটি চিতাবাঘ দেখতে পায়। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা শহরজুড়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি বাড়ির বাথরুমের সামনে বাঘটিকে প্রথম দেখতে পাওয়া যায়। বনদপ্তরের আধিকারিক এবং পশুপ্রেমী সংস্থার সদস্যরা (Forest officials and members of animal lovers organizations) খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান। ইতিমধ্যেই এলাকাজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি (Section 144 issued) করা হয়েছে বলে জানান পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের সদস্য তথা প্রত্যক্ষদর্শী সুমন্ত সাহা। পাশাপাশি বন দপ্তরের কর্মী ও কোতোয়ালি থানার পুলিশের (Kotwali police station) একটি বিশাল টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া বাড়িটি, যেখানে বাঘটির আনাগোনা প্রথমে লক্ষ্য করা যায়। ধরার জন্য আনা হয়ে খাঁচা।
এমনকী তারপরেই তড়িঘড়ি ১৪৪ ধারা জারির বিষয়ে প্রশাসনের তরফে এলাকায় মাইকিং করা শুরু হয়ে যায় গোটা এলাকায়। এদিকে কোচবিহার জলপাইগুড়ি ছাড়াও গত কয়েকমাসে রাজ্যের একাধিক জেলায় এই নিয়ে একাধিকবার বন ছেড়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে বাঘ। বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞদের মতে, বনে হয়তো বাঘেদের থাকার জন্য অনুকূল পরিবেশ নেই। তাই সেখান থেকে বেরিয়ে নতুন বাসস্থানের সন্ধানে বেরিয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। পশুপ্রেমীদের অভিযোগ, জঙ্গলে চোরাশিকারীদের যাতায়াত, খাবারের অভাবই এর কারণ। একই মত বন দপ্তরের কর্মীদের। দিন কয়েক আগে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকে ছোট চা বাগানের মাঝে একটি মৃত বাছুর দেখতে পান স্থানীয় গ্রামবাসীরা। এর পরেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে। এদিকে কোচবিহারে বাঘের খবর চাউর হতেই শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন-বাজেট শব্দের উৎপত্তি কোথা থেকে, কী বলছে ভারতীয় সংবিধান
আরও পড়ুন-কেরলে দৈনিক সংক্রমণ পার করতে চলেছে ৫০ হাজারের গণ্ডি, দিল্লিতেও খানিক বাড়ল উদ্বেগ
যদিও বাঘ দেখতে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন অনেকেই। এমনকি আশেপাশের এলাকা থেকেও ছুটে আসেন অনেকে। এমনকী ভিড় সামলাতে হিমশিম খায় পুলিশ ও বন দপ্তরের কর্মীরা। অবশেষে প্রায় ৪ ঘণ্টার চেষ্টার পর ঘুমপাড়ানি গুলি দিয়ে বাগে আনা যায় চিতা বাঘটিকে। ইতিমধ্যেই বাঘটিকে উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছেন বন দপ্তরের কর্মীরা। এই প্রসঙ্গে বনদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জলদাপাড়ায় বন দপ্তরের নিজস্ব রেঞ্জে নিয়ে গিয়ে প্রাথিমক ভাবে শারীরিক পরীক্ষা হবে বাঘটির। এরপরই তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে ঘন জঙ্গলে।
আরও পড়ুন- মানব ত্বকে ২১ ঘণ্টারও বেশি সময় দীর্ঘস্থায়ী ওমিক্রন, এই কারণেই কী বাড়ছে সংক্রমণ