রাজ্য বিজেপির বিধানসভা অধিবেশন বয়কট করার সিদ্ধান্তে রীতিমত ক্ষুব্ধ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরি। তৃতীয় বার ক্ষমতায় এসে তৃণমূলের মন্ত্রিসভা গঠনের মাঝেই রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে তুলোধোনা করলেন অধীর চৌধুরি।
তৃণমূলের মন্ত্রিসভা গঠনের মাঝেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির নিশানায় রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। বহরমপুরের সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সোমবার বিজেপির কড়া সমালোচনা করেন। এদিন অধীর বিজেপির বিধানসভা বয়কটের সিদ্ধান্তের পাশাপাশি জয়ী বিধায়কদেরও তুলোধোনা করেন। বিধায়ক হিসাবে শপথ গ্রহণের পরেও ভোট পরবর্তী হিংসার প্রতিবাদে বিধানসভার যাবতীয় কার্যকলাপ বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি-র এই সিদ্ধান্তকে শুরুতেই তুলোধোনা করেন অধীর চৌধুরী।
সোমবার তিনি বলেন, বিধানসভার অধিবেশনই যদি বয়কট করার থাকত, তা হলে বিজেপি নির্বাচনে অংশ নিল কেন। বিজেপির এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচয় দেয়। বিধানসভা বয়কট করতে হলে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কোন মানেই থাকে না। শুধুমাত্র ক্ষমতা পেতে ও সরকার গড়ার লোভেই কি নির্বাচনে অংশ নেওয়া, প্রশ্ন তোলেন অধীর।
এদিন তিনি বলেন গণতন্ত্রে সরকার পক্ষ ও বিরোধী পক্ষ উভয়কেই থাকতে হবে। কারণ, বিরোধী দলকে বাদ দিয়ে কোনও গণতন্ত্র শক্তিশালী হয় না।’’ অধীর আরও সমালোচনা করে বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টির বিধানসভা বয়কটের সিদ্ধান্তে যাঁরা বিজেপি প্রার্থীদের ভোট দিয়ে জয়ী করেছেন তাঁদের অসম্মান জানানো হচ্ছে। বিধানসভায় যদি তাঁরা হাজিরই না থাকেন তা হলে মানুষের সুবিধা-অসুবিধার কথা বলবেন কী ভাবে।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দাবি মানুষের কথা বলার জায়গা বিধানসভা ও লোকসভা। বিধানসভার মধ্যে উপস্থিত থেকে প্রতিবাদ করা কিংবা প্রতিবাদে বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যাওয়া যায়, কিন্তু সম্পূর্ণ বিধানসভাকেই বয়কট করায় মানুষের রায়কে অমর্যাদা দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি-র এই সিদ্ধান্ত ও ব্যবহারের পিছনে পরাজয় মানতে না পারার মানসিকতা লুকিয়ে আছে। তারাও তৃণমূলকে অনুসরণ করছে ঘুরিয়ে।