এক টানা নয় ঘণ্টা জেরা করেও মেলেনি যথাযথ উত্তর। রাজীবের ছায়াসঙ্গী রাজীবের মতোই অসহযোগিতা করছেন। তবে হাল ছাড়ছে না সিবিআই।
বুধবার একটানা নয় ঘণ্টা জেরার পরে ফের বৃহস্পতিবার অর্ণব ঘোষকে তলব করল সিবিআই। বৃহস্পতি বার সকালে ফের সিবিআই এর মুখোমুখি বসবে সিবিআই।আবারও ডাকা হলো অর্ণব ঘোষকে। সিবিআই সূত্রে খবর, অর্ণব বহু প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যাচ্ছেন। যতক্ষণ না সদুত্তর পাওয়া যাচ্ছে ততক্ষণ চলবে জিজ্ঞাসাবাদ।
সারদাকাণ্ডের সময়ে বিধাননগর কমিশনারেটে ডিসিডিডি ছিলেন এই অর্ণব। বলা যায় রাজীবের ছায়া সঙ্গী ছিলেন তিনি। কাজেই অর্ণবকে টানা জেরার মধ্যে রাজীবকেও একটা বার্তা দিতে চাইছে সিবিআই।
শুধু অর্ণব নয়, সিবিআই দ্বিতীয়বার নোটিশ দিয়েছে কলকাতা পুলিশের অফিসার দিলীপ হাজরাকেও। তাঁকে (দিলীপ হাজরা) আগেও ডেকেছিল সিবিআই। কিন্তু সেই ডাকে সাড়া দেননি দিলীপ।
প্রসঙ্গত অর্ণব ঘোষের বিরুদ্ধে শাসক ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ নতুন নয়। তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল কমিশনও। তৃতীয় দফা ভোটের আগে তাঁকে মালদহের পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে সরানো হয় রাতারাতি।
আপাতত সারদা কাণ্ডের জাল দ্রুত গোটাতে চাইছে সিবিআই। সিবিআই-এর কাছে খবর গোটা ঘটনা ধামাচাপা দিতে সিট-কে পথ দেখিয়েছে এক প্রাক্তণ সিবিআই অফিসার যিনি এখন সিআইডির সঙ্গে যুক্ত। সেই বিষয়ে অর্ণব ঘোষের কাছে জানতে চাইতে পারে সিবিআই।
দেখে নেওয়া যাক কী কী বিষয়ে অর্ণবের কাছে প্রশ্ন রাখতে পারে সিবিআই:
১ সারদা কাণ্ডের তদন্তে রাজীব কুমার কী ব্লু পিরুন্ট বানিয়েছিলেন?
২ ঠিক কতটা দায়িত্ব ছিল অর্ণবের?
৩ হারিয়ে যাওয়া লাল খাতা বা পেন ড্রাইভের বিষয়ে তিনি অবগত কি না।
৪ রাজীবেক কল লিস্ট গায়েবের ব্যাপারে তাঁর অনুমান।
৫ রাজীব কুমার শেষ কবে যোগাযোগ করেছেন।
প্রসঙ্গত রাজীব কুমার যথেষ্ট হয়রান করেছে সিবিআই-কে। দ্বিতীয় দফাতেও ঠিক প্রথম দফার মতোই চলেছে নাটক। এবার সিআইডি দূত এসে তাঁর সাফাই দিয়ে গিয়েছে সিবিআই-এ। কাজেই এই জেরার মাধ্যমে তাঁকেও নার্ভের চাপে রাখতে চাইছে সিবিআই।