ফের রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল, দায়িত্ব বাড়ল সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের, ডানা ছাঁটা হল ব্রাত্য ও শোভনদেবের

Published : Nov 18, 2019, 01:23 PM ISTUpdated : Nov 18, 2019, 01:24 PM IST
ফের রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল, দায়িত্ব বাড়ল সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের, ডানা ছাঁটা হল ব্রাত্য ও শোভনদেবের

সংক্ষিপ্ত

রাজ্য মন্ত্রিসভায় বড়সড় রদবদল বাড়তি দায়িত্ব পেলেন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় দায়িত্ব কমল ব্রাত্য় বসু ও শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের দপ্তর পেলেন শান্তিরাম মাহাত ও বিনয়কৃষ্ণ বর্মন   

লোকসভা ভোটে জঙ্গলমহল ও উত্তরবঙ্গে শাসদলের খারাপ ফলের মাশুল দিতে হয়েছিল দু'জনকেই।  মন্ত্রী থাকলেও হাতে কোনও দপ্তর ছিল না পুরুলিয়ার বিধায়ক শান্তিরাম মাহাত ও কোচবিহারের মাথাভাঙার বিধায়ক বিনষকৃষ্ণ বর্মনের।  দপ্তর পেলেন তাঁরা। বাড়তি দায়িত্ব পেলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায় আর ডানা ছাঁটা হল ব্রাত্য বসু ও শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের। বিধানসভার ভোটের বছর দেড়েক আগে ফের রদবদল ঘটল রাজ্য মন্ত্রিসভায়।

নবান্ন থেকে রাজ্য মন্ত্রিসভার রদবদলের নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা।  শুধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিই নয়, বনদপ্তরের দায়িত্বেও ছিলেন ব্রাত্য বসু। আর রাজ্যের বিদ্যুৎ ও অপ্রচলিত শক্তি দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।  রাজ্য সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, ব্রাত্য বসুর হাতে থাকা বনদপ্তরের দায়িত্ব এখন থেকে সামলাবেন একদা সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। আর পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী  তো ছিলেনই, অপ্রচলিত শক্তি দপ্তরের বাড়তি দায়িত্ব পেলেন সুব্রত মুখোধ্যায়। এই দপ্তরের দায়িত্ব ছিল বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের।

লোকসভা ভোটের আগে পর্যন্ত  রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী ছিলেন পুরুলিয়ার বিধায়ক শান্তিরাম মাহাত। আর বনমন্ত্রী কোচবিহারের মাথাভাঙার বিধায়ক বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। কিন্তু লোকসভা ভোটে জঙ্গলমহল ও উত্তরবঙ্গে ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সবকটি আসনেই জিতেছেন বিজেপি প্রার্থীরা। ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দপ্তর ও বন দপ্তরের দায়িত্ব থেকে শান্তিরাম ও বিনষকৃষ্ণকে সরিয়ে দেওয়া হয়। দপ্তরহীন মন্ত্রী ছিলেন তাঁরা। মন্ত্রিসভার রদবদলের পর ফের আগের দপ্তর অর্থাৎ পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নের দায়িত্ব পেলেন শান্তিরাম মাহাত।  দপ্তর পেয়েছেন আর রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রীও।  অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী হলেন বিনয়কৃষ্ণ বর্মন।

প্রসঙ্গত, আগে অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দপ্তরের অধীনেই  আদিবাসী-সহ অন্যন্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প রূপায়ণ করা হত। বছর দুয়েক আগে আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য আলাদা দপ্তর তৈরি হয়। দপ্তরটি নিজের হাতেই রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিমন্ত্রী ছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।


 

PREV
click me!

Recommended Stories

মেসি-কাণ্ডে কলকাতাকে বদনাম করার চেষ্টা! জয় শ্রীরাম স্লোগান নিয়ে প্রশ্ন কুণালের
'নবান্ন কাছে থাকলে দিদির আজ খবর ছিল', মেসি-কাণ্ডে মমতাকে কটাক্ষ অধীরের