আবারও ধাক্কা খেলেন রাজীব কুমার। তাঁর আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল আলিপুর আদালত। ফলে আরো চাপে পড়ে গেলেন পুলিশকর্তা।
সারদা মামলায় এডিজি সিআইডি রাজীব কুমারকে গ্রেফতার করতে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। গ্রেফতারি এড়াতে আলিপুর আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেন রাজীব কুমারের আইনজীবী। এদিন প্রায় তিন ঘণ্টা আদালতে সওয়াল জবাব চলে। রাজীবকে পলাতক বলে আগাম জামিনের বিরোধিতা করেন সিবিআই-এর আইনজীবী। প্রথমে রায়দান স্থগিত রাখলেও পরে জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন বিচারক। ফলে আরো চাপে পড়লেন রাজ্যের এই পুলিশকর্তা।
আগাম জামিনের আবেদন করে আলিপুর আদালতে শুক্রবার নতুন করে আবেদন করেন রাজীব কুমার। এ দিন সেই মামলার শুনানিতে প্রত্যাশিতভাবেই সিবিআই-এর আইনজীবী তার বিরোধিতা করেন। তিনি আদালতে অভিযোগ করেন, রাজীব কুমার পলাতক। বার বার সিবিআই তাঁকে হাজিরা দিতে বললেও তাঁর খোঁজ মেলেনি। এই প্রসঙ্গেই রাজীবের অপরাধের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে পি চিদম্বরমের মামলার প্রসঙ্গ টেনে আনেন সিবিআই-এর আইনজীবী। প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই আইএনএক্স দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই।
রাজীবের আইনজীবী অবশ্য পাল্টা দাবি করেন, অগস্ট মাসের ২৮ তারিখেই রাজীব কুমার চিঠি দিয়ে সিবিআই-কে জানিয়েছিলেন, সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত ছুটিতে থাকবেন তিনি। তার পরে সিবিআই ডাকলেই হাজিরা দিতে পারবেন। ফলে, এর পরে কীভাবে সিবিআই রাজীব কুমারকে পলাতক হিসেবে দেখাচ্ছে, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন রাজীব কুমারের আইনজীবী গোপাল হালদার। তাঁর আরও প্রশ্ন, কলকাতা হাইকোর্ট রাজীবের গ্রেফতারির উপরে স্থগিতাদেশ না দিলেও তাঁকে অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করেনি। সেখানে কীভাবে রাজীব কুমারকে এখন সাক্ষীর বদলে সারদা মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে সিবিআই দাবি করছে,তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন গোপালবাবু।