তিন দিনে করোনা থেকে মুক্ত করবে তরল। রোগীদের খাওলেই স্বস্তি পাবেন তারা। এমনই জৈবিক তরল তার কাছে রয়েছে বলে দাবি করেছেন এসপি মার্কিটিংয়ের মালিক বিশ্বজিৎ দাস। তাঁর দাবি, তিন দিনে যেকোনও করোনা রোগীকে নেগেটিভ করে দেবে এই তরল। নিজের হাতে রোগীদের মুখে স্প্রে করে তিনি দেখান, এতে কোনও ক্ষতিকারক পদার্থ নেই। এমনকী নিজের অফিসে সেই জৈবিক পদার্থ ক্যামেরার সামনে খান তিনি।
বিশ্বাজিৎবাবু জানান, ফিরহাদ হাকিম তাদের করোনা রোগীদের উপর এই প্রয়োগ করতে অনুমতি দেন। সেইমতো তিনি হাওড়ার বাল্টিগুড়ি ইএসআই হসপিটালে গিয়ে এই জৈবিক তরল করোনা রোগীদের মুখে স্প্রে করেন। তবে শুধু করোনাই নয় এই জৈবিক তরলের মধ্যে ক্যানসার থেকে মুক্তির পথ আছে বলে দাবি করেন বিশ্বজিৎবাবু। তিনি বলেন, বার বার এই বিষয়টি প্রমাণ করতে আইসিএমআর-এর কাছে অনুমতি চান তিনি। কিন্তু বহুবার চেষ্টা করলেও তাঁর আবেদনে সাড়া দেয়নি কেন্দ্রীয় সংস্থা।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বলছে, নিত্য়দিন কেউ না কেউ করোনা মুক্তির ওষুধ বের করার দাবি করছেন। কদিন আগেই বাবা রামদেবও সেই একই দাবি করেন। যদিও পরে চাপে পড়ে নিজের দাবি থেকে সরে আসেন তিনি। তাই নতুন কেউ ওষুধের মাধ্য়মে করোনা মুক্তির দাবি করলে তা বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে না দেশবাসীর কাছে। যা নিয়ে নিজেই সাফাই দিয়েছেন বিশ্বজিৎবাবু। তিনি বলেন, তার এই তরল কোনও ওষুধ নয়। এটা একটা আয়নাইজড ওয়াটার। তাঁর বাবা ক্যান্সারে মারা যান। হাজার চেষ্টা করেও বাবাকে বাঁচাতে না পেরে ক্য়ান্সারের চিকিৎসার খোঁজ শুরু করেন তিনি ।
পরে হায়দরাবাদে এক চিকিৎসকের কাছে এই অ্যালকালাইন বেসড তরলের সন্ধান পান। চিকিৎসকের কাছে জানতে পারেন ,এই তরল শরীরে ঢুকলে কোনও জীবাণু দীর্ঘদিন শরীরে বেঁচে থাকতে পারে না। সেই চিকিৎসা পদ্ধতির রেকর্ডও বিশ্বজিৎবাবুকে দেখান চিকিৎসক। এমনকী ল্য়াব টেস্টেও এই তরলকে সেফ বলা হয়েছে। তারপরই নিজের কোম্পানির মাধ্য়মে এই তরলের প্রচার শুরু করেছেন তিনি।