সন্দেশখালির ঘটনায় সরগরম রাজ্য রাজনীতি। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী কথা বলেছেন রাজ্যপাল। বৈঠক হয়েছে কেশরীনাথ ত্রিপাঠী ও অমিত শাহর।
সূত্রের খবর রাজ্যের পরিস্থিতিকে অত্যন্ত মনোযাগ দিয়ে খতিয়ে দেখছে কেন্দ্র। এই নিয়ে অমিত শাহ আজ অজিত ডোভালের সঙ্গেও কথা বলেছেন। সেই বৈঠকে ছিলেন আরও কয়েকজন গোয়েন্দা অফিসার। সেখানে পশ্চিববঙ্গের নির্বাচন পরবর্তী হিংসা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। তার পরে অমিত শাহ কথা বলেন রাজ্যপালের সঙ্গেও। প্রথমে স্থির হয় মোদী এবং শাহ একসঙ্গে কথা বলবেন.। কিন্তু এদিন মোদীর সঙ্গে পর্যালোচনা সেরে রাজ্যপাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন।
প্রসঙ্গত এদিন প্রায় একই সময়ে রাজ্যে পর্যালোচনা বৈঠক করেন মমতা। সেখান থেকে তিনি বিবৃতি দিয়ে বলেন, বাংলার নামে রটনা হচ্ছে। তাঁর সাফ কথা, "রাজ্যের নামে অপপ্রচার চলছে। কেন্দ্রীয় সরকার আগুন নিয়ে খেলছে। গণতন্ত্র বিক্রি হয় না। আমাদের রাজ্যে সবচেয়ে বেশি শান্তি রয়েছে। রটানো হচ্ছে স্টেইনগান, পাইপগান নিয়ে চলে বাংলার লোক। বিজেপির মতো টাকা আমরা দিতে পারব না। বাংলাকে অপমান করবেন না।"
মমতা এ কথাও মুখে বললেও তিনি নিজেও জানেন আইন শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে সেই ভোটপর্ব থেকেই। মৃতদেহ নিয়ে তাঁর দেখানো পথেই রাজনীতি করছে বিজেপি। এই আবহে আসরে নেমেছে কেন্দ্রও। প্রসঙ্গত নতুন গঠিত সপ্তদশ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় পাঁচ বছরের জন্যে ক্যাবিনেটের সমতুল্য পদ দেওয়া হল জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালকে। রাজ্যের পরিস্থিতির বিষয়ে তাঁর নাক গলানো কীসের ইঙ্গিত, জোর জল্পনা চলছে।