অবশেষে কেটে গেল সল্টলেকের আনন্দলোক হাসপাতালের জট। লক আউট নোটিশ প্রত্যাহার করে হাসপাতাল চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন কর্ণধার দেবকুমার শরাফ। তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপেই হাসপাতাল ফের খুলল বলে স্বীকার করেছেন হাসপাতালের কর্ণধার। এ দিন সকাল থেকেই ফের হাসপাতালের স্বাভাবিক পরিষেবা শুরু হয়ে গিয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরেই সল্টলেকের এই বেসরকারি হাসপাতালটিতে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল। কর্মী থেকে শুরু করে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, কেউই তাঁদের বকেয়া পাচ্ছিলেন না বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত সোমবার রাতে
লক আউট নোটিশ জারি করেছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের হয় ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছিল, আর বাকিদের অন্যত্র স্থানান্তরিত করার ব্যবস্থা করা হয়।
এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই তৎপর হয় তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় নিজেও হাসপাতাল বন্ধ হওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এর পরেই তৃণমূলের তরফে যোগাযোগ করা হয় হাসপাতালের কর্ণধার দেবকুমার শরাফের সঙ্গে।
তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে দেবকুমার শরাফ অভিযোগ করেন, হাসপাতালে তৃণমূল সমর্থিত কর্মী সংগঠনের দুই নেতা এই অচলাবস্থার জন্য দায়ী। তাঁদের জন্যই হাসপাতাল বন্ধ করতে তিনি বাধ্য হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন হাসপাতালের কর্ণধার। এর পরেই তৃণমূলের নেতৃত্বের তরফে ওই দুই কর্মীকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করার আশ্বাস দেওয়া হয়। তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের আশ্বাস পেয়েই হাসপাতাল ফের খোলার সিদ্ধান্ত নেন দেবকুমার শরাফ। এ দিন সকাল থেকেই আবারও হাসপাতালে রোগী ভর্তি শুরু হয়ে গিয়েছে। কাজে যোগ দিয়েছেন চিকিৎসক এবং হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীরাও।