২০২০ সালে ২৬ নভেম্বরই দিল্লির উপকণ্ঠে প্রথম এই কৃষক আন্দোলনের সূচনা হয়। যাতে যোগ দেয় পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ সহ একাধিক রাজ্যের লক্ষাধিক কৃষক।
হার না মানা লড়াই শেষে অবশেষে এসেছে জয়। কৃষকদের দাবির কাছে মাথানত করেছে সরকার। বাতিল হয়ে গিয়েছে কেন্দ্রের তিন বিতর্কিত কৃষি আইন(Agricultural Act)। কৃষি আইন বাতিল প্রসঙ্গে মোদীর(PM Narendra Modi) ঘোষণার পরেই দেশুজুড়ে শুরু হয়ে যায় উৎসবের মেজাজ। এদিকে ২০২০ সালে ২৬ নভেম্বরই দিল্লির উপকণ্ঠে প্রথম এই কৃষক আন্দোলনের(Farmers Movement) সূচনা হয়। যাতে যোগ দেয় পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ সহ একাধিক রাজ্যের লক্ষাধিক কৃষক(farmers)। এবার মুম্বই হামলার সেই কালা দিনেই পড়েছে তাঁর বর্ষপূর্তি। সেই উফলক্ষ্যে একাধিক পরিকল্পনা রয়েছে বিভিন্ন সামাজিক ও কৃষক সংগঠনগুলির।
ইতিমধ্যেই কৃষক আন্দোলনকে স্মরণীয় করে রাখতে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার(sanjukta Kisan Morcha) পশ্চিমবঙ্গ শাখার তরফে বৃহত্তর কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। দিল্লি সীমান্তে কৃষক বিক্ষোভের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে এবং কালা কৃষি আইন বাতিলের সংগ্রামে কৃষকদের ঐতিহাসিক জয় উদযাপন করতে, সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা কলকাতার ওয়াই চ্যানেলে এক বিশাল জনসভারও ডাক দিয়েছে। একই সাথে এই দিনই ধর্মতলা থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত একটি মিছিলও বের করা হবে সংগঠনের তরফে। এদিনের কর্মসূচিতে রাজ্য সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার সমস্ত বিশিষ্ট নেতারা উপস্থিত থাকবেন বলেও জানা যাচ্ছে। বেলা ১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্তই চলবে মূলত এই কর্মসূচি। কলকাতা(kolkata) সহ পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জায়গায় ট্র্যাক্টর র্যালি বের করা হবে বলেও জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন- ত্রিপুরায় পুরভোটে লাগামছাড়া হিংসা নিয়ে সরব বিরোধীরা, নজর তৃণমূলের ‘সুপ্রিম’ পদক্ষেপে
অন্যদিকে কৃষক আন্দোলনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে দিল্লি সীমান্তে রয়েছে সাজসাজ রব। সেখানও শুক্রবার বড়সড় বিক্ষোভ কর্মসূচি রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই আরও হাজার হাজার কৃষক সিংঘু এবং টিকরি সীমান্তে উপস্থিত হয়েছেন। চলমান আন্দোলনকে নেতৃত্বদানকারী মূল সংগঠন, সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রতিবাদের এক বছর উপলক্ষ্যে হাজার হাজার কৃষক দিল্লিতে আসছেন। পাশাপাশি বহু শ্রমিকও আগামীকাল তাঁদের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে জানা যাচ্ছে।
তবে শুধু বাংলা বা দিল্লি নয় আন্দোলনের এক বছর পূর্তিতে শুধু দিল্লি সীমান্তে নয়, গোটা দেশে একাধিক বিক্ষোভ-কর্মসূচি এবং অনুষ্ঠান করবে কৃষক সংগঠনগুলি। তামিলনাড়ু, বিহার এবং মধ্যপ্রদেশের ট্রেড ইউনিয়নগুলি ঘোষণা করেছে যে জেলা সদরে অনুষ্ঠিত কৃষকদের বিক্ষোভে যোগ দেবে। অন্যদিকে কর্ণাটকে শ্রমিক এবং কৃষকরা জাতীয় সড়ক অবরোধের কর্মসূচি নিয়েছে। এছড়াও আরও একাধিক জেলায় থাকছে বিভিন্ন কর্মসূচি। আর তা নিয়ে ব্যস্ততা চরমে কৃষক সংগঠনগুলির মধ্যে।