নারদকাণ্ডে জামিন পেলেন না আইপিএস মির্জা। ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত হল এসএমএইচ মির্জার। মঙ্গলবার শুনানি শেষে ব্যাঙ্কশাল কোর্টের সিবিআই বিশেষ আদালত তার জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। ফলে আগামী ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত জেলেই কাটাতে হবে মির্জাকে।
মুকুলের ঘাড়ে দোষ চাপানোয় ইতিমধ্য়েই বিজেপি নেতার বাড়ি গিয়েছিল সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। মির্জার বয়ান মেনে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। মুকুল রায় বাড়িতে থাকাকালীন মির্জার সামনে বসিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়। এমনকী সিবিআইয়ের প্রতিটি পদক্ষেপের ভিডিয়োগ্রাফি করে সিবিআই টিম। মির্জার কথা অনুসারে,এলগিন রোডে মুকুলের বাড়িতে বসেই ম্যাথুর থেকে নেওয়া টাকা দিয়ছিলেন মির্জা। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মুকুল রায়। তিনি দাবি করেন, জোর করে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নির্দেশ মেনে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। ক্যামেরায় কোথাও তাঁকে টাকা নিতে দেখা যায়নি।
মুকুলের এই মন্তব্য নিয়েও মুখ খুলেছেন আইপিএস মির্জা। তিনি বলেন, কাউকে ক্যামেরায় টাকা নিতে দেখা যায়নি মানেই কি তিনি টাকা নেননি। পুজোর ঠিক আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর আদালত মির্জাকে ১৪দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। সেইমতো এদিনই মির্জার মেয়াদ পূর্ণ হয়। মঙ্গলবার ফের তাকে আদালতে তোলা হয়। রুদ্ধদ্বার আদালত কক্ষে প্রায় ঘণ্টা খানেকের সওয়াল-জবাবের পর বিচারক এই রায় দেন।
এই প্রথম নারদ মামলায় কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। গত ২৬ সেপ্টেম্বর জিজ্ঞাসাবাদে বয়ানে অসংগতি মেলায় গ্রেফতার করা হয় সাসপেন্ডেড এই আইপিএস অফিসারকে। সেদিনই তাকে আদালতে তোলা হলে ৫ দিনের সিবিআই হেফাজত হয় মির্জার। নারদ ভিডিয়োয় নারদকর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলের হাত থেকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ম্যাথুর দাবি, মুকুল রায়ের পরামর্শে মির্জার সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি।