ইনস্যুরেন্সের টাকা ফেরতের নামে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণা,কলকাতায় রমরমিয়ে চলেছে ব্যবসা

Published : Oct 15, 2019, 01:44 PM IST
ইনস্যুরেন্সের টাকা ফেরতের নামে লক্ষাধিক টাকা  প্রতারণা,কলকাতায় রমরমিয়ে চলেছে ব্যবসা

সংক্ষিপ্ত

টাকা ফেরত দেওয়ার নামে উল্টে প্রতারিত হচ্ছেন গ্রাহকরাই  খাস কলকাতার বুকে রমরমিয়ে চলছে এই জালিয়াতি ব্য়বসা বন্ধ ইনস্যুরেন্সের টাকা ফেরত পেতে গিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হারাতে হচ্ছে গৃহস্থকে সম্প্রতি এই প্রতারণা চক্রের হদিশ পেয়েছে সাইবার ক্রাইম শাখা

টাকা ফেরত দেওয়ার নামে উল্টে প্রতারিত হচ্ছেন গ্রাহকরাই। খাস কলকাতার বুকে রমরমিয়ে চলছে এই জালিয়াতি ব্য়বসা। বন্ধ ইনস্যুরেন্সের টাকা ফেরত পেতে গিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হারাতে হচ্ছে গৃহস্থকে। সম্প্রতি এই প্রতারণা চক্রের হদিশ পেয়েছে সাইবার ক্রাইম শাখা। 

বন্ধ ইনস্যুরেন্স পলিসির টাকা ফেরত পাইয়ে দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণা। প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস করলো বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। সেক্টর ফাইভের একটি অফিস থেকে ৩জন মহিলা সহ ১৬জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, সম্প্রতি এই প্রতারণা চক্রের হাতে হেনস্থা হন হিরিশ পার্কের এক মহিলা। তাঁকে বন্ধ  ইনস্যুরেন্সের টাকা ফেরত পাইয়ে দেবে বলে একটি কোম্পানি থেকে ফোন আসে। ফোনের ওপার থেকে বলা হয়, বন্ধ ইনস্যুরেন্স চালু করতে সামান্য কিছু নথি লাগবে। মহিলা সম্ম্তি দিতেই পরের দিন বাড়িতে হাজির  হয় কোম্পানির লোক। পরে মহিলাকে বুঝিয়ে ডাকা হয় সেক্টর ফাইভের অফিসে।  সেখানে আরসিডিকে নামক ওই প্রতারণা সংস্থা মহিলার প্রতিবন্ধী ছেলের নামে প্রায় ৪০ লাখ টাকার ইন্সুরেন্স খুলে দেয়। 

পরে বিষয়টা বুঝতে পেরে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম শাখার দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। গত জুন মাসে এই অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সেই অনুযায়ী তদন্ত শুরু করে পুলিশ। সেক্টর ফাইভের অফিস থেকে ধরা পড়ে ১৬ জনের একটা দল। যাদের মধ্যে তিন জন মহিলাও রয়েছে। অভিযোগ, এই মহিলাদের দিয়েই বন্ধ ইনস্যুরেন্স খোলার জন্য় কল করাত প্রতারকচক্র। সাইবার ক্রাইম শাখা সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যেইে কোম্পানির তিন ডিরেক্টরকে গ্রেফতার  করেছে পুলিশ। তবে এর পিছনে আরও বড় কোনও চক্র থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছে সাইবার ক্রাইম শাখা।

তবে কীভাবে এই প্রতারণা চক্র চলত তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত নন গোয়ন্দারা। সূত্রের খবর, বড় বড় ইনস্যুরেন্স কোম্পানির থেকেই গ্রাহকদের নাম ও ডেটা সংগ্রহ করতে এই কোম্পানি। কর্পোরেটের ভাষায় যাকে বলা হয় লিড। এই লিড দেখেই টেলি কলারদের দিয়ে প্রতারণা চক্রের জাল বিছাত ডিরেক্টররা। তাদের নির্দেশ মোতাবেক গ্রাহক ফাঁদে পা দিলেই তাদের  ডেকে পাঠানো হত সল্টলেক সেক্টর ফাইভের অফিসে।   


 

PREV
click me!

Recommended Stories

কোন পথে চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকদের ভবিষ্যত? শুক্রবার প্রকাশিত হবে SSC নবম-দশম ভেরিফিকেশন তালিকা
চিংড়িঘাটায় ৩৬৬ মিটার 'জট' কাটবে? কলকাতা মেট্রো-সহ সবপক্ষকেই বুধবার বৈঠকে বসতে নির্দেশ