৯ মাসে ৪৮টি কেস, বরাবরই বেপরোয়া ছিল আরসালানের জাগুয়ার

  • আরসালান পারভেজের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ
  • শেক্সপিয়র সরণিতে গাড়ি দুর্ঘটনা কাণ্ডে গ্রেফতার
  • দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় দুই বাংলাদেশি নাগরিকের
  • বরাবরই বেপরোভাবে গাড়ি চালাত অভিযুক্ত আরসালান

debamoy ghosh | Published : Aug 18, 2019 6:30 PM IST

মাত্র ৯ মাসে ৪৮ বার ট্রাফিক বিধি ভঙ্গ করেছিল আরসালান পারভেজের জাগুয়ার। আর তাঁর এই বেপরোয়া মনোভাবেরই মাশুল দিলেন দুই বাংলাদেশি তরুণ, তরুণী। শেক্সপিয়র সরণী গাড়ি দুর্ঘটনার তদন্তে নেমে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের হাতে। তদন্তাকারীদের অভিযোগ, শুক্রবার রাতে দুর্ঘটনা ঘটানোর আগেও তিন বার সিগনাল ভাঙে নামী রেস্তোরাঁ চেনের মালিকের পুত্র আরসালান। 

এ দিনই অভিযুক্ত যুবককে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। জামিনের আবেদন খারিজ করে আরসালানকে এগারো দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। এর আগেই আরসালানের বিরুদ্ধে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো এবং অনিচ্ছাকৃত মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগ এনেছিল পুলিশ। এ দিন তার সঙ্গে অনিচ্ছাকৃত খুন এবং সরকারি সম্পত্তি নষ্টের ধারাও যুক্ত করা হয়েছে। 

শুক্রবার গভীর রাতে শেক্সপিয়র সরণীতে একটি মার্সিডিজ গাড়িতে ধাক্কা মারে আরসালানের জাগুয়ার গাড়ি। সংঘর্ষের জেরে প্রায় কুড়ি ফুট ছিটকে গিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়ানো তিন বাংলাদেশি নাগরিকের উপরে পড়ে মার্সিডিজটি। প্রাণ হারান দুই বাংলাদেশি তরুণ-তরুণী। 

আরও পড়ুন- বেপরোয়া গতির বলি দুই বাংলাদেশি, গ্রেফতার আরসালান রেস্তোরাঁর মালিকের ছেলে

তদন্তে নেমে আরসালান পারভেজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনার সময় সেই গাড়িটি চালাচ্ছিল। ওই জাগুয়ার গাড়ির পুরনো নথি খতিয়ে দেখে পুলিশ জানতে পেরেছে, গত ৯ মাসে গাড়িটির বিরুদ্ধে আটচল্লিশ কেস দায়ের হয়েছে। এ দিন আদালতে সরকারি আইনজীবী অভিযোগ করেন, একজন শিক্ষিত যুবক হয়ে আরসালান জানত, বেপরোয়া গতিতে সিগনাল ভেঙে গাড়ি চালালে তার পরিণতি মারাত্মক হতে পারে। সরকারি আইনজীবী আরও অভিযোগ করেন, আরসালানের জাগুয়ারের গতি এতটাই তীব্র ছিল যে তার ধাক্কায় কুড়ি ফুট ছিটকে গিয়ে ওই বাংলাদেশি নাগরিকদের পিষে দেয় মার্সিডিজটি। ভেঙে যায় পুলিশের কিয়স্কও। 

পাল্টা আরসালানের আইনজীবী দাবি করেন, বর্ষার রাতে রাস্তা পিচ্ছিল হওয়াতেই গাড়ির চাকা স্কিড করে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাছাড়া আরসালানের জাগুয়ারে নয়, দুই বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে মার্সিডিজ গাড়িটির ধাক্কায়। যদিও, এই যুক্তি না মেনে শেষ পর্যন্ত অভিযুক্তের ২৯ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতেরই নির্দেশ দেয় আদালত।

এর পাশাপাশি আরসালান মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিল কি না, তা জানতে তার রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে। এর পাশাপাশি জাগুয়ার গাড়িটি দুর্ঘটনার সময় কতটা গতিতে ছিল, তা জানতে সংস্থার বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। 
 

Share this article
click me!