সদ্যোজাত-র বাবা রহস্যের কাটল জট, মা-এর স্বীকারোক্তিতে মিলল আসল বাবা-র পরিচয়

  • অবশেষে কাটল বাবা রহস্যের জট
  • ধোঁয়াশা কাটিয়ে সামনে এল বাচ্চার আসল বাবার পরিচয়
  • বন্ধুকে স্বামী সাজিয়ে চলছিল অভিনয়
  • পুলিশি জেরাতেই সামনে এল সত্যি

এক সন্তানের জন্য বাবার দাবিদার তিন জন। বাঘাযতীনের গাঙ্গুলিবাগানের একটি বেসরকারি হাসপাতালের এই ঘটনা চাঞ্চল্য ফেলে দেয় কলকাতা শহরে। শেষমেশ সদ্যোজাত-র মা-এর বয়ানে মিলল বাবার পরিচয়। বাবা হওয়ার দাবি জানানো তিন জনের মধ্যে একজন হলেন হর্ষ ক্ষেত্রী। সদ্যোজাতর মা এই হর্ষ ক্ষেত্রীকেই তাঁর সন্তানের পিতা বলে পরিচয় দিয়েছেন। 

প্রসব যন্ত্রণায় কাতর উত্তরপাড়ার স্বপ্না মৈত্র-কে ২০ জুলাই গাঙ্গুলিবাগানের ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করান দীপঙ্কর পাল নামে এক যুবক। দীপঙ্কের বাড়ি বাঘাযতীনের রবীন্দ্রপল্লিতে। রবিবার এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন স্বপ্না। হোয়াটসঅ্যাপ-এ স্বপ্না তাঁর সদ্যোজাত সন্তানের ছবি-সহ স্টেটাস আপডেট করেন। এই স্টেটাস আপডেট চোখে পড়ে নিউটাউনের বাসিন্দা হর্ষ ক্ষেত্রীর। তিনি খোঁজখবর নিয়ে হাসপাতালে হাজির হন। সেখানে স্বপ্না ও তাঁর সন্তানকে নিজের স্ত্রী ও কন্যা বলে দাবি করেন হর্ষ। এই ঘটনায় বিভ্রান্তিতে পড়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। স্বপ্না-ও প্রথমে এই বিষয়ে কিছু বলেননি। এমনকী হর্ষ-কে নিজের স্বামী বলে মানতেও অস্বীকার করেন। ফলে পরিস্থিতি জটিল আকার নেয়। কারণ ততক্ষণে স্বপ্নার সন্তানের বাবা হিসাবে দীপঙ্কর ও হর্ষ বাকযুদ্ধে মেতে উঠেছিলেন। 

Latest Videos

পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করে যখন মঙ্গলবার শেষবেলায় প্রদীপ রায় নামে আরএক ব্যক্তি হাসপাতালে হাজির হন। তিনি-ও নিজেকে স্বপ্নার স্বামী এবং সদ্যোজাত-কে তাঁর সন্তান বলে দাবি করেন। উপায় না পেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সোমবার নেতাজি নগর থানায় খবর দিয়ে রেখেছিল। এরপর দফায় দফায় দীপঙ্কর  ও হর্ষ দু'জনকেই জেরা করে পুলিশ। কথা বলা হয় স্বপ্নার সঙ্গেও। শেষমেশ মঙ্গলবার বিকেলে হর্ষকে নিজের স্বামী  বলে পুলিশের কাছে পরিচয় দেন। এমনকী তাঁর সন্তানের আসল পিতা যে হর্ষ সে কথাও পুলিশকে জানিয়ে দেন স্বপ্না। 

হর্ষ হাসপাতালে  পুলিশের সামনেই তাঁর ও স্বপ্নার বিয়ের সার্টিফিকেট বের করে দেখিয়েছিলেন। স্বপ্না যে তাঁর স্ত্রী সেটা প্রমাণ করতে হর্ষ আরও কিছু নথি পুলিশের সামনে পেশ করেছিলেন। কিন্তু, হাসপাতালের খাতায় যেহেতু দীপঙ্কের নাম স্বামী হিসাবে লেখা ছিল ফলে বেশকিছু ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। স্বপ্নার বয়ানে অবশেষে সেই ধোঁয়াশা কেটেও যায়। অন্যদিকে প্রদীপ রায় নামে যে তৃতীয় ব্যক্তি পিতৃত্বের দাবি করেছিলেন তাঁকেও হাসপাতাল চত্বরে আর দেখা যায়নি। 

স্বপ্না পুলিশকে জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকেই স্বামীর সঙ্গে তাঁর গণ্ডগোল লেগেই থাকত। তাই স্বামীকে শিক্ষা দিতে অন্তঃস্বত্তা অবস্থায় তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। বন্ধু দীপঙ্কর পালকে স্বামী সাজিয়ে হর্ষ-কে শিক্ষা দিতে চেয়েছিলেন তিনি। 

 

Share this article
click me!

Latest Videos

সধবাকে বিধবা বানিয়ে ভাতা! জানাজানি হতেই পালাল তৃণমূল নেতা, চাঞ্চল্য শান্তিপুরে | Shantipur | Nadia
Daily Horoscope: ৮ জানুয়ারি বুধবার এই ব্যক্তিদের দিনটি খারাপ যাবে, দেখুন আজকের রাশিফল
‘Bangladesh সরকার সবসময় চাইছে যুদ্ধ লাগুক’ Yunus সরকারকে একহাত নিলেন Nawsad Siddique
'৩ ফুট জায়গা দিলে ভালো হয়' প্রমোটিংয়ের জন্য স্কুলের জমি দখলের চেষ্টা! দেখুন | Sonarpur Latest News
PM Modi Live : অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন প্রধানমন্ত্রী মোদীর, সরাসরি