রবিবার পেশায় টোটোচালক প্রার্থী তারকনাথ ধীবরের টোটোতে চেপেই চন্দনা বাউরি ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় প্রচার সারেন। সেই টোটোতেই বাজতে দেখা গেল বাবুল সুপ্রিয়র ‘জনপ্রিয় গান’ ‘এই তৃণমূল আর না’।
বিতর্ক আর বাবুল সুপ্রিম (Babul Supriya) ক্রমেই যেন সমার্থক হয়ে উঠছে বঙ্গ রাজনীতিতে। সম্প্রতি আসানসোল পৌরনিগমের ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডে দলীয় প্রার্থী তারকনাথ ধীবরের সমর্থনে রবিবার প্রচারে এসেছিলেন শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরি (Shaltora BJP MLA Chandana Baury)। গেরুয়া শিবিরের ওই প্রচারেই হাতিয়ার করা হয়েছে বাবুলেরই একটি গান যা তিনি বিজেপিতে থাকার সময় তৃণমূলের বিরুদ্ধে লিখেছিলেন। এদিকে বিগত কয়েক মাস হল তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন বাবুল (Babul Supria Joined TMC)। তারপর কেটে গিয়েছে অনেকটা সময়। কিন্তু বারেবারেই খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে বাবুলের 'এই তৃণমূল আর না' গান। এবার আসানসোল পুরনিগমের ভোট প্রচারে (Asansol Municipal election campaign) এই গানকে হাতিয়ার করেই শাসক তৃণমূলকে বিপাকে ফেলতে চাইছে পদ্ম শিবির।
রবিবার পেশায় টোটোচালক প্রার্থী তারকনাথ ধীবরের টোটোতে চেপেই চন্দনা বাউরি ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় প্রচার সারেন। সেই টোটোতেই বাজতে দেখা গেল বাবুল সুপ্রিয়র ‘জনপ্রিয় গান’ ‘এই তৃণমূল আর না’। এমনকী কুলটির পর চন্দনা রানিগঞ্জেও গিয়েছিলেন। সেখানেও তাঁর প্রচারের সময় বাজে বাবুলের এই গান। যা নিয়ে হাসাহাসি শুরু হয়েছে সোশ্যাল পাড়ায়। এদিকে ২০১৪ ও ২০১৯ সালে এই আসানসোল থেকেই বিজেপির টিকিটে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। ২০১৯ সালের নির্বাচনের সময় তৃণমূলকে বিঁধতে ‘এই তৃণমূল আর না’ গানটি লিখেছিলেন তিনি। যা সেই সময় তুমুল ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সহজ ভাবে দেখতে গেলে বাবুল-বিজেপি সম্পর্ক প্রায় দীর্ঘ ৭বছরের। কিন্তু গত বছর দল বদলের পর তিনি সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। তারপর সরাসরি যোগ দেন ঘাসফুল শিবিরে।
আরও পড়ুন- ‘মমতাই ধ্যান, মমতাই জ্ঞান’, অভিষেক বিতর্কের মাঝেই ফের মমতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ কল্যাণ
এদিকে এর আগে ত্রিপুরা নির্বাচনে বাবুলের এই ‘তৃণমূল বিরোধী’ গান নিয়ে বিতর্ক হলেও শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনার সাফ উত্তর "এই গানটা আমার খুব ফেভারিট।" গত বছর নভেম্বরে ত্রিপুরায় তৃণমূলের হয়ে প্রচার সভায় উপস্থিত রয়েছেন বিজেপি ত্যাগী প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, সায়নী ঘোষরা। বড় আড়ম্বরপূর্ণ সভা না হলেও, আগরতলার রামনগর এলাকায় ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী তপন দত্তর সমর্থনে চলছিল পথসভা। সেই সময় এই গান নিয়ে তুমুল বিড়ম্বনায় পড়েন বাবুল। যখন এই কাণ্ড ঘটে তখন মাইক হাতে পথসভায় বক্তৃতা দিচ্ছিলেন সায়নী ঘোষ, পেছনে চেয়ার বসে বাবুল সুপ্রিয়। আর ঠিক তখনই সেখানে হাজির হয় বিপির প্রচার ট্যাবলো। যাতে বাজতে থাকে বাবুল সুপ্রিয়র গাওয়া গান ‘এই তৃণমূল আর না আর না!’ সেই সময়েও এই গান নিয়ে বিস্তর হাসাহাসি হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।