'জাতীয় শিক্ষানীতির বিরোধিতা কেন - জানা নেই, আগেই কমিটি গড়েছেন মমতা'

  • জাতীয় শিক্ষানীতির বিরোধিতা নিয়ে মমতাকে একহাত
  •  সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়
  •  বিনাশকালে বিপরীত বুদ্ধি হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর
  • বললেন কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী

Asianet News Bangla | Published : Aug 10, 2020 1:52 PM IST / Updated: Aug 10 2020, 07:34 PM IST

জাতীয় শিক্ষানীতির বিরোধিতা নিয়ে এবার মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি নামলেন বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিজেপি নেতা বলেন, বিনাশকালে বিপরীত বুদ্ধি হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। বিরোধিতা করতে হবে বলে জোর করে জাতীয় শিক্ষানীতির বিরোধিতা করছেন মমতা। সবথেকে হাস্যকর বিষয়,কেন শিক্ষানীতির বিরোধিতা করা হবে তা ঠিক না করেই কমিটি গড়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী। 

এদিন আসানসোলের সাংসদ বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতির বিরোধিতা করা হবে। এই সিদ্ধান্তটা নেওয়া হয়ে গেছে। কিন্তু জাতীয় শিক্ষানীতির কেন বিরোধিতা করা হবে, তার কোনও কারণ ঠিক হয়নি। সবথেকে আশ্চর্যের বিষয়,শিক্ষানীতির বিরোধিতায় কমিটি আগেই কমিটি তৈরি  হয়ে গেছে। এবার তারা বসে ঠিক করবে এই নীতির মধ্য়ে কী ভুল রয়েছে ও কেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার জাতীয় শিক্ষানীতির বিরোধিতা করছে। 

Honble WBCM @MamataOfficial hv FIRST taken the decision to aggressively oppose the National Education Policy #NEP2020 & hv THEN formed an expert committee to find out WHY they wud oppose it😡But then u cant expect #TMchhi to knw what putting "Chariot b4 the Horse" wud mean 👎🏽 pic.twitter.com/llJKG3xnma

— Babul Supriyo (@SuPriyoBabul) August 7, 2020  

অর্থাৎ জাতীয় শিক্ষানীতির বিরোধিতা করা হবে, এই সিদ্ধান্ত মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সরকার আগেই নিয়েছেন। এবার সেই কমিটি কীকী কারণে শিক্ষানীতির বিরোধিতা করা হবে তা ঠিক করবে। এটা কি মজা হচ্ছে ? এই ধরনের ঘোষণাগুলো যখন হয়, পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী কি বুঝতে পারেন না তিনি নিজেকে কতটা হাসির খোরাক করে ফেলছেন। তৃণমূল যে বিরোধিতা করার জন্য় বিরোধিতা করে এটা তার প্রত্যক্ষ প্রামণ। বিরোধিতা ওনারা সবকিছুতেই করেন। সবথেকে বড় বিষয়,ওনারা পশ্চিমবঙ্গের জনতার বিরোধিতা করেন। কিন্তু এটা কীকরম হল, Putting 'Chariot before the Horse'.

এই বলেই থেমে থাকেননি কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তিনি বলেন, মোদী সরকার বিদগ্ধ লোকজনকে এনে জাতীয় শিক্ষানীতি তৈরি করেছেন। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের যদি কিছু বলার থাকে,তাহলে সেটা কেন্দ্রীয় সরকারকে জানাতে পারতেন। সেটাই তো ফেডারেল স্ট্রাকচার। আসানসোলের সাংসদ দাবি  করেন, আগে থেকেই কমিটি মেম্বারদের দিয়ে নিজের রিপোর্ট পেশ করবেন মাননীয়া। ওনার অনুপ্রেরণায় কেন ওই নীতির বিরোধিতা করতে হবে তাও নিজেই লিখে পাঠিয়ে দেবেন মমতা। এরকম একটা হাস্যকর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, কারণ কথায় আছে বিনাশকালে বিপরীত বুদ্ধি।  
 

Share this article
click me!