ধর্মীয় মঞ্চ থেকে মোদীর নাগরিকত্ব আইন নিয়ে প্রচারের নিন্দা করছেন বিরোধীরা। বিরোধীদের অভিযোগ, বেলুড় মঠের মতো জায়গাকে রাজনৈতিক মঞ্চ হিসাবে ব্য়াবহার করে ঠিক করেননি প্রধানমন্ত্রী। এর মাধ্য়মে বেলুড় মঠের ভাবমূর্তিতে দাগ লেগেছে। যদিও বিরোধীদের এই প্রশ্নের উত্তরে অন্য কথা বললে মঠ কর্তৃপক্ষ।
বিবেকানন্দের জন্মদিন উপলক্ষে যুব সমাজকে উদ্বুদ্ধ করাই ছিল তাঁর কাজ। সেই অনুযায়ী ভাষণও শুরু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু মাঝপথেই তাল কাটে। যুব সমাজ সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখে শোনা যায় সিএএ প্রসঙ্গ। যা নিয়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় বলেছেন, নিজেকে লজ্জিত মনে হচ্ছে। আমার মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে। মঠকে রাজনৈতিকে আখড়া হিসেবে ব্যবহার করেছে প্রধানমন্ত্রী। আমি এই কথা পরবর্তীকালেও তুলব। বেলুড় মঠের সভামঞ্চ ব্যবহার করে তিনি রাজনীতির করেছে এটা অত্যন্ততই লজ্জার বিষয়।
একই কথা শোনা গিয়েছে সিপিএম-এর পলিটব্য়ুরো সদস্য মহম্মদ সেলিমের গলায়। তিনি বলেন, উনি সরকারি কাজে এসেছেন। ওনার বেলুড় মঠকে রাজনৈতিক মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করা উচিত হয়নি। যদিও এ বিষয়ে বেলুড় মঠ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী স্মরণানন্দ মহারাজ বলেন , 'আমাদের এই ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া নেই। কারণ আমরা সংসারে এসেছি টু রেসপন্স টু ইটারনাল কল। আর এসব কথাবার্তা হচ্ছে রেসপন্ড টু এপিমিরাল কল। জাগতিক ব্যাপারে আমরা রেসপন্ড করি না। আমরা এ কারণেই ঘর দোর ছেড়ে এসেছি। আমরা বিশ্বাস করি, ঈশ্বর লাভই মানব জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য।'
তবে এসবের উত্তর না দিলেও মোদীকে ঘরের ছেলে বলে সম্বোধন করেন মহারাজ। তিনি বলেন,' বেলুর মঠে তিনি এসেছেন । এটা ঘরের ছেলের ঘরে ফেরার মতো। এটা সত্যি কথা। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি আমাদের সম্মানীয় অতিথি। এটা অত্যন্ত গর্বের বিষয়, যে ১২০ কোটির দেশের প্রধানমন্ত্রী বলছেন, আমি এই প্রতিষ্ঠানে যেতে চাই ও রাত কাটাতে চাই। সেখানে অতিথি হিসাবে কোনও তিনি যদি কিছু বলেন, তা নিয়ে হোস্টদের কোনও নেতিবাচক টিপ্পনি করা উচিত নয়। এটাই ভারতীয় সংস্কৃতি।'