করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে দেশ জুড়ে চলছে লক ডাউন বন্ধ চৈত্র সেলের বাজার ১০০০ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা
লক ডাউনেই এসে গেল বাংলার নববর্ষ। হাতে মাত্র কয়েকটা দিন। এমন সময় গড়িয়াহাট থেকে ধর্মতলা, ভিড়ে ঠাঁসা দোকানে পা ফেলার জায়গা থাকে না। কিন্তু চেনা ছবি প্রথমবার বদলে গেল কলকাতা সহ গোটা বাংলায়। করোনার জেরে এখন চলছে লক ডাউন। ২১ দিনের লক ডাউন বাড়তে পারো আরও। ফলে বন্ধ সোনার দোকান, বন্ধ কাপড় জামার দোকান। নেই হালখাতা, নেই উৎসবের মরসুম।
এমন পরিস্থিতিতে ১০০০ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে কেবল মাত্র পোশাক বিক্রেতারা। কলকাতার বুকে থাকা প্রায় ১০ হাজার বড় দোকান ও ৮০ থেকে ৯০ হাজার ফুটপাতের দোকান বন্ধ। চৈত্র সেল ও পুজোর সময় মূল কেনাবেচা করে থাকেন ব্যাবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতিতে বিস্তর ক্ষতির মুখে পড়েছেন বিক্রেতারা। কেবল পোশাকই নয়, সোনা, বাড়ির আসবাবপত্র সবই ক্রয় করে থাকেন এই সময় তাঁরা।
প্রতিটা দোকানে গড়ে ১০ জন করে কাজ করে। এমন পরিস্থিতিতে প্রায় ১লক্ষ লোক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। পাশাপাশি ফুটপাতের দোকানে কর্মরত তিন লক্ষ মানুষ আজ আর্থিক অনিশ্চয়তায়। এই সময় ব্যবসায়ীদের যা উপার্যন হয় তা দিয়ে তাঁদের চার মাসের খরচ উঠে আসে। ফলে ক্ষুদ্র থেকে বড় ব্যবসায়ীরা বিস্তর পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির মুখে। পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যেই করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৯। প্রাণ হারিয়েছেন ৫ জন। ফলে লক ডাউন আরও বাড়তে পারে। তাই এখনই স্বাভাবিক হচ্ছে না পরিস্তিতি।