ইন্সুরেন্স সংস্থার নাম করে ৪ কোটি টাকা প্রতারণা কাণ্ডে আরও দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ইন্স্যুরেন্স সংস্থার অভিযোগ, ৪ কোটির বেশি টাকা গ্রাহকদের থেকে সংস্থার নাম করে অন্য কোনও ব্যাংক একাউন্টে ট্রান্সফার করিয়ে নেয় কোনও এক প্রতারণা চক্র।
ইন্সুরেন্স সংস্থার নাম করে ৪ কোটি টাকা প্রতারণা কাণ্ডে গ্রেফতার আরও দুই অভিযুক্ত। ইন্স্যুরেন্স সংস্থার অভিযোগ, ৪ কোটির বেশি টাকা গ্রাহকদের থেকে সংস্থার নাম করে অন্য কোনও ব্যাংক একাউন্টে ট্রান্সফার করিয়ে নেয় কোনও এক প্রতারণা চক্র। এরপরেই ভিন রাজ্যে হানা দিয়ে ৩ মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আনে পুলিশ।আর এবার আরও দুজনকে গ্রেফতার করল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। এই ঘটনায় গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫। তিন ভিন রাজ্যের অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্রেফতার আরও দুই।
পুলিশি সূত্রে খবর, ৩ মার্চ ফিউচার জেনারেল ইন্স্যুরেন্স সংস্থার পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ জানানো হয় যে তাঁদের সংস্থার ৪ কোটির বেশি টাকা গ্রাহকদের থেকে সংস্থার নাম করে অন্য কোনও ব্যাংক একাউন্টে ট্রান্সফার করিয়ে নেয় কোনও এক প্রতারণা চক্র। সেই তদন্ত শুরু করে ২জুন ভিন রাজ্যে হানা দিয়ে ৩ মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আনে পুলিশ। প্রতারণা চক্রের মূল পান্ডা সোমেশ মহিঙ্কর, বিশাল কদম এবং জয়েস ববিলাল মহারাষ্ট্রে লুকিয়ে ছিল। সেখান থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার থানার পুলিশ। এরপরই অভিযুক্তদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে ওই সংস্থার পরিবর্তে টাকা অন্য কোনও ব্যাংক অ্যাকাউন্টে যায়। সেই সূত্র ধরেই তদন্ত শুরু করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। গতকাল রাতে বাগুইহাটি এবং ইকোপার্ক এলাকায় হানা দিয়ে এই ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত সৈকত ভট্টাচার্য্য এবং প্রসেনজিৎ ভাদুরিকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, এই দুই ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে পৌঁছেছিল ৪ কোটি টাকা। সেখান থেকে সেই টাকা ভাগে ভাগে পৌঁছায় মহারাষ্ট্রের চক্রের অন্যতম পান্ডাদের কাছে। অর্থাৎ আর্থিক তছরুপের মধ্যমণি হিসাবে কাজ করতো এই ব্যক্তিরা।
আরও পড়ুন, মিলল সিসিটিভি ফুটেজ, পরিচিত কেউ কি এসেছিলেন ? ভবানীপুর জোড়া খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য
আরও পড়ুন, 'দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার করুন', হাসিমারা বনবাংলোয় বসেই ভবানীরপুর খুনে সিপিকে ফোন মমতার
মঙ্গলবার অভিযুক্তদের বিধাননগর আদালতে তোলা হবে। পুলিশ তাদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই চক্রের অন্যদের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। উল্লেখ্য এর আগেও শহরে একাধিক প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে টাকা দ্বিগুন করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণার অভিযোগও মিলেছে। খবর প্রকাশ্যে আসতেই অভিযান চালায় পুলিশ। শেষ অবধি ভিনরাজ্য থেকে প্রতারণার অভিযোগ ১৪ জনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, শহরের বুকে নির্লপ্তভাবে বেআইনি ওই সংস্থা প্রতারণা চালাচ্ছিল। ধৃতদের মধ্যে সেভ দ্য বেয়ার ফুট নামে ওই সংস্থার মালকিন লিজা মুখোপাধ্যায়-সহ কলকাতার ৬ জন রয়েছেন। তাঁদের ট্রানজিট রিম্যান্ডে শহরে আনা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, শহরের তিন থানায় দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছিল। বেনিয়াপুকুর, এন্টালি, কড়েয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন প্রতারিত ব্যাক্তিরা।এরপরেই অভিযান চালিয়ে শেষ অবধি মহারাষ্ট্র থেকে ১৪ জনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ।
আরও পড়ুন, আজ নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ৫১০ যুগলের বিয়ে দেবেন মমতা, লক্ষ্য কি আদিবাসী ভোট ব্যাঙ্ক