জোড়া অপরাধের পর্দা ফাঁস করল বিধাননগর পুলিশ। শহরে বড়সড় প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস করল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পাশাপাশি একই শহরে বড়সড় ডাকাতির ছক বানচাল করল বিধান নগর দক্ষিণ থানার পুলিশ।
জোড়া অপরাধের পর্দা ফাঁস করল বিধাননগর পুলিশ। একদিকে রাজ্যে বাড়ছে ভুয়ো জন্ম সার্টিফিকেট (Fake Birth Certificate) তৈরির মাধ্যমে প্রতারণা চক্র। শহরে বড়সড় প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস করল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। হুগলি থেকে আন্তরাজ্য প্রতারণা চক্রের পান্ডাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি একই শহরে বড়সড় ডাকাতির ছক বানচাল করল বিধান নগর দক্ষিণ থানার পুলিশ (Bidhannagar Police)।
পুলিশ সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানানো হয়, রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল গুলির বেশকিছু ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করে একটি প্রতারণা চক্র কাজ করছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ জানতে পারে, রাজ্যের প্রতিটি সরকারি হাসপাতালের ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করে একটি চক্র। সাধারণ মানুষদের টাকার বিনিময় জাল জন্মের সার্টিফিকেট সহ একাধিক জাল নথি সরবরাহ করতো তাঁরা। অবশেষে ভুয়ো ওয়েবসাইটের আইপি অ্যাড্রেস ট্র্যাক করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ হানা দেয় হুগলির খানাকুল এলাকায়। সেখান থেকে অভিযুক্ত নূর হাসান মোল্লাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
'শুধুমাত্র দুবেলা ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই', বাংলাদেশি যুবকের বিজ্ঞাপনে নড়ে গেল নেটদুনিয়া
পুলিশ সূত্রে খবর, এই অভিযুক্ত রাজ্যের প্রতিটি হাসপাতালের ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করে প্রতারণা চক্র চালাতো। এর সঙ্গে রাজ্যের একাধিক এলাকার চক্র জড়িয়ে আছে। এছাড়াও রাজ্যের বাইরে উত্তরপ্রদেশ বিহারেও এই চক্র ছড়িয়ে আছে। এই অভিযুক্তের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ। যার সোশ্যাল মিডিয়া থেকে প্রতিটি হাসপাতালের ভুয়ো ওয়েবসাইটের আইডি পাসওয়ার্ড উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এদিন অভিযুক্তকে বিধাননগর আদালতে তোলা হবে। পুলিশ তাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই অভিযুক্তের সঙ্গে আর কাদের যোগ রয়েছে। এই চক্রের পিছনে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তি রয়েছে কিনা তা তদন্ত করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।
অপরদিকে, বড়সড় ডাকাতির ছক বানচাল করলো বিধান নগর দক্ষিণ থানার পুলিশ।পুলিসের হাতে গ্রেফতার পাঁচ।উদ্ধার ধারালো অস্ত্র ও ডাকাতি করার সরঞ্জম।সুকান্ত নগরের লোহাপুল এর কাছ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এদিন তাদের বিধান নগর কোর্টে তোলা হবে। পুলিশ সূত্রে খবর, সল্টলেকের এএইচ ব্লকে চুরি করতে এসে পুলিশকে আহত করে পালায় দুষ্কৃতী।সেই ঘটনার পর বিধান নগর পুলিশ তাদের রাতের টহলদাড়ি আরও বাড়িয়ে দেয়।আর যার ফল স্বরূপ গতকাল রাতে ডাকাতি করার আগেই গ্রেফতার পাঁচ।পুলিশ সূত্রে খবর বেশ কয়েকজন সুকান্ত নগর এর লোহাপুলের কাছে সন্দেহ জনক ভাবে জমায়েতের খবর পেয়ে সেখানে হানা দেয়।এর পর সেখান থেকে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে।তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় বেশ কিছু ধারালো অস্ত্র ও ডাকাতি করার সরঞ্জাম।তাদের কোথায় ডাকাতি করা বা চুরি করার পরিকল্পনা ছিল সেই বিষয়ে জানার চেষ্টা করবে। মঙ্গলবার তাঁদের বিধান নগর কোর্টে তোলা হবে। ধৃতরা বেলেঘাটা ও ফুলবাগান এলাকার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে খবর।